নবীগঞ্জ প্রতিনিধি

১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০৯:৪৮

নবীগঞ্জে গভীররাতে আ.লীগ-বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে গয়াহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।

এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরীর প্রাইভেটকার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে বিএনপি কর্মী সফিক মিয়ার (২২) অবস্থা গুরুতর। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি চরগাঁও গ্রামের মন্নাফ মিয়ার ছেলে।এছাড়া একই গ্রামের জব্বার মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া (৩৫), নুর ইসলামের ছেলে নাহিদ মিয়া এবং সুজাপুর গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ রুবেলসহ আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মুকিত চৌধুরীর জানান, গয়াহরি গ্রামে তিনি অবস্থান করছিলেন। এ সময় তারা খবর পান গয়াহরি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের কাছে বিএনপির প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার কর্মী সমর্থকরা আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরীর ওপর হামলা ও তার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এতে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরী জানান, তিনি গয়াহরি গ্রামে রবিন্দ্র দাশ মেলাইর বাড়িতে রাতে পৌষ সংক্রান্তির নিমন্ত্রণে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় ওই বাড়ির কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের ভাই শায়েল চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় তার সঙ্গে কুশল বিনিময় চলাকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরী সেখানে পৌঁছান।

এ সময় রাহেল উত্তেজিত হয়ে তার (ছাবির আহমেদ চৌধুরী) সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তিনি গাড়ি নিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া হয়। তখন নৌকা সমর্থকরা সফিক মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার ভুড়ি বেরিয়ে যায়। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দুই বিএনপি সমর্থককে আটক করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত