তাহিরপুর প্রতিনিধি

১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৪২

তাহিরপুরে শীতে কাবু জনজীবন

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গত কয়েক দিন ধরে শৈতপ্রবাহ বেড়েই চলছে। সূর্যের দেখা কিছুটা মিললেও কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে সারা দিন। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা। বোরো জমিতে চারা রোপন ও অন্যান্য কাজে যেতে পারছে না তারা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে গরীব অভাবী মানুষজন শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। শীতের প্রস্তুতি না থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে আছে উপজেলাবাসী। ভোর থেকে বেলা ১১-১২টা পর্যন্ত কুয়াশার ডাকা থাকে চারপাশ। কোন কোন দিন সারাদিনেই কুযাশা ও সেই সাথে ঠান্ডা বাতাশ প্রবাহিত হওয়ার কারনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরছে। তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাশ, কুয়াশার ছাঁদরে ডাকা পড়েছে জেলার হাওর আঞ্চল ও সীমান্ত এলাকা রাস্তা-ঘাট।

শৈত প্রবাহের কারনে জেলা সদর হাসপাতাল ও জেলার ১১টি উপজেলা হাসপাতাল ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরা নিউমোনিয়াসহ সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। বৃদ্ধরাও ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা সাদেক আলী জানান, এ উপজেলায় শীত বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ২০২০ সাল তাহিরপুর উপজেলার তিনটি শুল্ক স্টেশন যাদুকাটা নদী বন্ধ থাকায় কর্মহীন হাজার হাজার শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছে। কৃষক নিঃস্ব, অসহায় দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের শীত নিবারনের জন্য শীত বস্ত্র প্রয়োজন।

উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা বীরেন্দ্র নগড় কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সি,এইচ,সি,পি নরোত্তম পাল পল্টু জানান, শীত বাড়ছে ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যাও বাড়বে।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন,কয়েক দিন ধরেই শীতের পরিমান বাড়ছে এতে করে টান্ডা জনিত রোগের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ  জানান, শীত বাড়ার কারণে এ উপজেলায় শীত বস্ত্র বিতরন শুরু হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত