মোসাইদ রাহাত, সুনামগঞ্জ

২০ জানুয়ারি, ২০২১ ১৫:১০

কারাগারে নয়, বাবা-মায়ের কাছেই থাকতে পারবে সুনামগঞ্জের ৪৯ শিশু

কারাগারে নয়, ৪৯ শিশুকে প্রবেশনে বাবা-মায়ের কাছে থাকার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।

আদালত জানায়, ৩২৩ ধারায় সুনামগঞ্জে ৩৫টি মামলায় ৪৯ জন শিশুকে আসামি করা হয়। মামলায় এসব শিশুদের প্রায়ই আদালতে হাজিরা দিতে হয়। এতে শিশুদের ভবিষ্যত অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়ে। তাদের শিক্ষাজীবনও ব্যহত হয়। শিশুদের এসব অসুবিধা থেকে মুক্তি দিতে কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের জন্য ১০ শর্তে বাবা-মা মায়ের জিম্মায় ফেরত পাঠায় আদালত।

শর্তগুলো হল, ১.“একশ মনীষীর জীবনী” নামক গ্রন্থটি প্রবেশনাধীন সময়ে পাঠ করা, ২. বাবা-মাসহ গুরুজনদের আদেশ নির্দেশ মেনে চলা, ৩. বাবা-মায়ের সেবা যত্ম করা এবং কাজে কর্মে তাদের সাহায্য করা, ৪. ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, ৫. নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা, ৬. প্রত্যেকে কমপক্ষে ২০টি করে গাছ লাগানো এবং গাছের পরিচর্যা করা, ৭. অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা, ৮. মাদক থেকে দূরে থাকা, ৯. ভবিষ্যতে কোন অপরাধের সাথে নিজেকে না জড়ানো, ১০. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

এছাড়া ৩৫ মামলায় ৪৯ শিশুদের যে শর্তে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে পরিবারে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে সেগুলো প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. শফিউর রহমান পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর অবহিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

সুনামগঞ্জ জেলার প্রবেশন কর্মকর্তা মো. শফিউর রহমান বলেন,  আদালত যে রায় দিয়েছেন সেটি শিশুদের ভবিষ্যতে বেড়ে উঠতে কাজে দিবে এতে করে শিশুরা অপরাধ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে। আদালত তাদের ১০ টি শর্ত দিয়েছেন এবং আমি তাদের প্রতি নজর রাখা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত