নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:৩৬

খাদিম হাসপাতালের টয়লেট নোংরা কেন: সচিবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে আসা যাত্রীদের মধ্যে যাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদের সিলেটের খাদিমনগর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু ওই হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসীরা।

সেখানকার নোংরা পরিবেশ ও করোনা পরীক্ষার যন্ত্রপাতি নিয়ে প্রবাসীদের ক্ষোভ প্রকাশের দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিও দুটি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. একে আব্দুল মোমেনেরও পৌঁছায়। তিনি এ ব্যাপারে সিলেটে করোনা পরিস্থিতির সমন্বয়ক এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার কাছে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্য থেকে ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সিলেটে এসে পৌঁছান ১৫৭ জন প্রবাসী। তাদেরকে সিলেটের বিভিন্ন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তখনকার নিয়ম অনুসারে, তাদেরকে ৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার কথা। তবে তার আগে সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষাও করিয়ে নেয়া ছিল বাধ্যতামূলক। এজন্য রবিবার (২৪ জানুয়ারি) এসব প্রবাসীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করানো হয়।

পরদিন সোমবার জানা যায়, প্রবাসীদের ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত। ফলে তাদেরকে খাদিমে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কিন্তু ওই হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রবাসীরা। বিশেষ করে টয়লেটের নোংরা পরিবেশের একটি ভিডিও প্রবাসীদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়া প্রবাসীদের শরীরের তাপমাত্রা যে থার্মাল থার্মোমিটার দিয়ে পরিমাপ করা হয়, সেটির কার্যকারিতা নিয়েও প্রবাসীদের ক্ষোভের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, এক প্রবাসী নিজে সাথে করে নিয়ে আসা থার্মাল থার্মোমিটারে একজনের তাপমাত্রা ’৩৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস’ আসে। কিন্তু দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীদের থার্মাল থার্মোমিটারে তাপমাত্রা আসে ‘৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস’।

একই সময়ে দুটি থার্মোমিটারে দুই ধরনের তাপমাত্রা আসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রবাসীরা। তারা নিজেদের থার্মোমিটারের তাপমাত্রাকেই সঠিক বলে দাবি করেন।

এ ভাইরাল ভিডিও দুটি নজরে আসায় আজ বুধবার সিলেটে করোনা পরিস্থিতির সমন্বয়ক এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াকে বার্তা পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি লিখেছেন-

‘‘হাসপাতালের টয়লেট সম্পর্কিত একটি ভিডিও ও তাপমাত্রা পরিমাপ নিয়ে আরেকটি ভিডিও আমি দেখেছি। এই ভিডিওগুলো ভাইরাল হয়েছে।

প্রথমত, আপনি (সচিব লোকমান) সিভিল সার্জন/ইউএনও বা যিনি দায়িত্বে আছেন, তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন যে, কেন টয়লেটগুলো এতো নোংরা। এই হাসপাতাল মাত্র কয়েক বছর আগে তৈরি করা হয়।

দ্বিতীয়ত, করোনা পরীক্ষার সরঞ্জামাদি নিয়ে কোনো সমস্যা আছে কী-না, আপনি দেখতে পারেন।’’

এসব ছোট বিষয়ের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন ড. মোমেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত