জুড়ী প্রতিনিধি

২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ১৬:১৭

প্রবাসীদের চাঁদায় সড়ক সংস্কার

হাকালুকি হাওরের পাশ ঘেষা জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফর নগর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রাম।
 
একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে কাদা হয়। কাদা পানিতে একাকার হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আর বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। হাকালুকি হাওরে পানির স্রোত এসে রাস্তায় ধাক্কা দিলে রাস্তা ভেঙ্গে হাওরে তলিয়ে যায়। মানিক সিংহ থেকে শাহপুর এবং ভূয়াই থেকে শাহপুর বাজারে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি।

অনেকদিন থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে এলাকাবাসী রাস্তা ভরাট করে পাকাকরণের দাবি জানালেও কেউ তাদের কথা রাখেন নি। বিভিন্ন সময় এসব ব্যক্তিবর্গ যে টিআর, কাবিখা সহ বরাদ্দ দিতেন এই রাস্তার কাজের তুলনায় তা সামান্য।

অবশেষে এলাকার প্রবাসীদের সংস্থা "প্রবাসী সূর্য সন্তান পরিবার" এর সদস্যরা নিজেরাই প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা  চাঁদা তোলে শুরু করেছেন রাস্তা প্রশস্তকরণ ও মাটি ভরাটের কাজ। কয়েকদিনের সংগ্রহে চাদাঁর পরিমাণ হয়ে গেছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। যার প্রায় সবটুকুই এলাকার প্রবাসীদের দান। এই টাকায় সড়কের কাজ চলছে। প্রত্যেক দিনেই মাটি ভরাটের কাজের জন্য এক্সাভেটর মেশিনের খরচ বাবদ ৩৫  হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে।

সরেজমিন সেচ্ছাশ্রমে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও মাটি ভরাটের কাজ দেখতে গিয়ে জানা যায়, এলাকার তিনপাশ হাওর বেষ্টিত। প্রায় এক কিলোমিটার এ রাস্তাটি দিয়ে শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহপুর দাখিল মাদ্রসা, শাহপুর বাজার অবস্থিত। প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে মানুষের যাতায়াত চলে।

স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক শাওন আহমদ ও ব্যবসায়ী মাতাব মিয়া বলেন, আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এরকম এলাকার প্রবাসী  প্রত্যেক পরিবার থেকে এ রকম ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা সংগ্রহ হয়েছে।সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে ভূয়াই -শাহপুর রাস্তার মাটি ভরাট করা হয়েছে,বাকি টাকা দিয়ে মানিকসিংহ-শাহপুর রাস্তার মাটি ভরাট করার কাজ চলছে। সবার অর্থায়নে এ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মতছিন আলী বলেন, এ রাস্তাটি এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।অনেক বছর সংস্কার এবং পাকাকরনের আশায় কাটলে ও আমার এলাকার মানুষ অপারগ হয়ে চাঁদা তুলে রাস্তার কাজ শুরু করেছে। তারপরও রাস্তাটি যাতে না ভাঙ্গে সেজন্য ব্লক দরকার। এ বাজেটে ব্লক হবে না। সরকারিভাবে ব্লকের ব্যবস্থা হলে ভরাটটি স্থায়ী হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত