মাধবপুর প্রতিনিধি

২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ২২:২৯

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান

মাধবপুরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রতারণার অভিযোগ

হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক কলেজ ছাত্রী। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রেমিক বিভিন্ন সময় তাকে ‘ধর্ষণ’ করেছেন বলে ওই ছাত্রীর অভিযোগ। এছাড়া গর্ভপাত ও শারীরিক নির্যাতনেরও অভিযোগ করছেন প্রেমিকের বিরুদ্ধে।

গত ৫ দিন ধরে বিয়ের দাবিতে ওই ছাত্রী প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রীর বলেন, ‘উপজেলার শাহজাহানপুর গ্রামের যুবক তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে ওই যুবক গত দেড় মাস আগে তার মেয়েকে শাহজাহানপুরে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই সময় তার পিতা আমার মেয়েকে তাড়িয়ে দেয়। প্রস্তাব দেয় সামাজিক অনুষ্ঠান করে পুত্র বধুর মর্যাদা দিয়ে আমার মেয়েকে ঘরে তুলে নেবে। কিন্তু এটি ছিল তাদের কৌশল। এখন আমার মেয়ে শাহজাহানপুরে ছেলের বাড়িতে অবস্থান করায় মেয়েটিকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।’

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি করে (অভিযুক্ত যুবক) বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে আমি অর্ন্তঃসত্তা হয়ে পড়ি। বিয়ের জন্য চাপ দিলে কৌশলে আমার গর্ভ নষ্ট করে। এখন সমাজে আমি মুখ দেখাতে পারি না। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে আমাকে না নিলে ‘‘আমার মরন ছাড়া উপায় নাই’’। ’

অভিযুক্ত ওই যুবকের পিতা বলেন, ‘ছেলের সাথে কেমন সম্পর্ক তা আমার জানার কথা নয়। ছেলে অনেক দিন ধরে বাড়িতে নেই। এখন সে আমার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে আমাকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে।’

মাধবপুর থানার তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেয়ের জবানবন্দি সংগ্রহ করেছে। মাধবপুর থানায় মেয়ের পিতা শনিবার বিকেলে অভিযোগ দেওয়ার কথা। অভিযোগ পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহনের জন্য হবিগঞ্জ বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে। আদালতের নির্দেশে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে। মেয়ের জবানবন্দিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ ঘটনায় মাধবপুর থানায় একটি মামলা হচ্ছে। মামলা পরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত