সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

০৪ মার্চ, ২০২১ ১৭:৫৭

সুনামগঞ্জে সওজের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের আশপাশে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে।

জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ভাসমান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি ও জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎজোতি পাবলিক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল বলেন, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জস্থ “বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর-৭১” সংলগ্ন তাকিপুর মৌজায় খতিয়ান নং-২ দাগ নং -৬২ এর খাল শ্রেণিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ভূমিতে অবৈধ স্থাপনা বসিয়ে তাদের কর্মকর্তা মাসিক মাসোয়ারা নিচ্ছেন খালের উপর কিভাবে স্থাপনা হয় তা ভেবে পাওয়া যাচ্ছে না। বর্ণিত খালের উপর দোকান হওয়ায় জনদুর্ভোগ লেগেই আছে। জনদুর্ভোগের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া দরিদ্র ঠেলাচালক বাহার উদ্দিন নিহত হয়েছেন এর দায় সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীর উপর পড়ে। মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা থাকবে না মর্মে মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে, কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী দীর্ঘদিন ধরে কোন কার্যত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তিনি আদালত অবমাননা করছেন।

বক্তব্যে আরও বলা হয়, খাল শ্রেণির সরকারি ভূমিতে কোন প্রকার স্থাপনা থাকবে না মর্মে দেওয়া মহামান্য উচ্চ আদালতের রিট পিটিশন নং৩৮৫৫/২০১৩ বাধ্যকর নির্দেশ রয়েছে। আদেশটি অনুসরণ না করছেন তো নাই তিনি সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৩৭ ধারা মোতাবেক মহাসড়কের পাশে ১০ মিটারের মধ্যে কোন স্থাপনা না থাকার কথা থাকলেও প্রকৌশলী তাও পালন করছেন না। তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে গরীবদের তুলে দিলেও অধিকাংশ ক্ষমতাবানদের স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ হচ্ছে না।

সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত রিকশা ইউনিয়নের সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন বলেন, মহাসড়কের পাশে চিহ্নিত অবৈধ ১৪টি স্থাপনা কি কারণে প্রকৌশলী উচ্ছেদ করছেন না তা আমার বোধগম্য নয় এছাড়া গোলচত্বরের নামে আঁকাবাঁকা চত্বর তৈরি করেছেন, একটা গাড়ি ঘুরানোরও ভাল  জায়গা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এসকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলে সাধারণ মানুষসহ যানবাহনগুলো সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারবে।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ স্থাপনাগুলোর ব্যাপারে আমাকে সুস্পষ্ট অভিযোগ জানালে আমি ব্যবস্থা নিবো তবে সার্ভেয়ার ও সহকারি কমিশনার কাগজপত্রগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত