নিজস্ব প্রতিবদেক

০৬ মার্চ, ২০২১ ০০:৪২

কয়েল-কীটনাশকেও মরছে না মশা

সাধারণত পঁচা পানিতে মশা জন্মায়। নর্দমা, ড্রেন, ডোবা, বিল ঝিলের পঁচা পানিতে বংশ বিস্তার করে। ফলে বর্ষা মৌসুমে মশার বিস্তার ঘটে। কিন্তু এবার বর্ষা আসার আগেই এবার সিলেটে বেড়েছে মশার উৎপাত। মশার যন্ত্রণায় অতীষ্ঠ নগরবাসী।

নগরের অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন কয়েল, এরোসেল ব্যববহার করেও এবার মশার যন্তণা থেকে রেহাই মিলছে না। কয়েলে মরছে না মশা।

নগরের শিবগঞ্জ এলাকার গৃহিনী শুল্ক দে বলেন, কয়েল জ্বালিয়ে মশার উপদ্রব থেকে নিস্তার মিলছে না। মশার টানানোর আগ পর্যন্ত শান্তি নেই। বাচ্চাদের পড়ার সময়ও মশারি টানিয়ে দিতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন



 কীটনাশক ছিটানোর পরও মশা বাড়ছে কেন, এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘প্রত্যেক প্রজাতির মশা কীটনাশক ও প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে তাদের জিনগত পরিবর্তন করে থাকে। যে কীটনাশক এখন দেয়া হচ্ছে বা বিগত দুই থেকে তিন বছর ধরে দেয়া হয় সেটার বিরুদ্ধে সে সহনশীলতা তৈরি করে ফেলে। এটাকে ইনসেক্টিসাইড রেজিস্ট্যান্স বা কীটনাশক সহনশীলতা বলা হয়। একটা সময়ে এটা এদের জিনগত সহনশীলতায় পরিবর্তন নিয়ে আসে, যা পরবর্তী প্রজন্মেও ট্রান্সফার হয়।’

এই কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ‘এভাবে কিউলেক্স মশা একটা পরিবর্তিত পরিবেশে বেঁচে থাকার সামর্থ্য অর্জন করে থাকে। তবে এটা যে আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে তা নয়, যে কীটনাশক দিয়ে তাকে মারা হতো, সেটার বিরুদ্ধে সে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।'

‘ফলে এখন যে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আর এই মশা মরছে না।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত