জগন্নাথপুর প্রতিনিধি

০৯ মার্চ, ২০২১ ০০:৪০

জগন্নাথপুরের নলজুর নদী খনন কার্যক্রম পরিদর্শনে বেলা

‌সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলজুর নদী খনন কাজ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেটের একটি প্রতিনিধিদল।

সোমবার দুপুরে নলজুর নদীর খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তারা। পরিদর্শনকালে নেতৃবৃন্দ নলজুর নদীতে অবৈধ দখলদারদের বহাল রেখে অপরিকল্পিত খনন কার্যক্রমে বিস্ময় প্রকাশ করেন। পরে তারা জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে নদী খনন ও অবৈধ দখলদারদের প্রসঙ্গে কথা বলেন।

নদী খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবীদ সমিতি (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আক্তার, মাঠ কর্মকর্তা আল আমিন সর্দার, সাংবাদিক কাউসার চৌধুরী, অমিত দেব, আলী আহমেদ, গোবিন্দ দে প্রমুখ।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবীদ সমিতি (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আক্তার বলেন, নলজুর নদীতে অবৈধ দখলদারদের বহাল রেখে অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন দুঃখজনক। তিনি বলেন, আমরা নদীতে অবৈধ দখলদারদের উচ্চেদ করে নদীটি বাস্তবতার আলোকে খননের দাবি জানাই। তিনি নদী খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন।

স্হানীয় লোকজন জানান, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের হিসেবে অনুযায়ী নলজুর নদীতে ৪৯ জন অবৈধ দখলদার রয়েছে। এসব দখলদারদের দখলের পরও নদীতে ২০০ থেকে ৩০০ ফুট প্রস্ত রয়েছে। খনন হচ্ছে মাত্র ৫০ ফুট প্রস্ত। ফলে দখলদাররা দখলের আরো সুযোগ পাবে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন ও প্রাক্কলন অনুযায়ী নলজুর নদী খনন হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা। আমরা শুধু কাজ তদারকি করছি। নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা রয়েছে। উচ্ছেদ মামলার আদেশ পেলে অবৈধ দখলদারদের উচ্চেদ করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের বাদাউড়া থেকে এরালিয়া বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫০ ফুট প্রস্থে নদী খননের উদ্যাগ নেয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশন টেক লিমিটেড ঢাকা সাড়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দে কাজ বাস্তবায়ন করছে। ১৮ জানুয়ারি কাজ শুরু হয়েছে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত