রেজুওয়ান কোরেশী, জগন্নাথপুর

২৬ মার্চ, ২০২১ ১৫:২০

রাতের আধাঁরে সড়ক খুঁড়ে ইট বালু নিয়ে গেলেন ই্উপি সদস্য

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে গভীররাতে সড়ক খুঁড়ে ইট ও বালু নিয়ে যাওয়ার  অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যে (মেম্বার) বিরুদ্ধে। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাগলা জগন্নাথপুর আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার অংশে রানীগঞ্জ বাজার এলাকায় রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসরাক আলী মেম্বার গভীররাতে সড়ক খুঁড় ইট বালু নিয়ে যান। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সড়কে অনুমতি না নিয়ে ড্রেণ নির্মাণের জন্য তিনি এসব ইট বালু নয়ে যান বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পেলে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসরাক আলীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে লিখিতভাবে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে অনুরোধ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণের জায়গা থাকার পরও বর্ধিত অংশ খননের ফলে সড়কটি সরো হয়ে যানচলাচল ও ফেরি পারাপার বিঘ্নিত হচ্ছে।

রানীগঞ্জ  ফেরীর ইজারাদার আবুল কাশেম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসরাক আলী সড়কের পূর্ব পাশে অনেক খালি জায়গা রেখে গভীর রাতে খনন যন্ত্র দিয়ে ইট ও বালু বাঘময়না গ্রামের নোমান মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। আমরা খবর পেয়েছি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসরাক আলী সড়কের মালামাল প্রবাসী নোমান মিয়ার লোকজনের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সড়কটি  খনন করায় ফেরি পারাপারা ও যান চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সজিব দাস বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপি প্রকল্প থেকে এ ড্রেন নির্মাণ কাজ করার উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে।  সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যায়ে এ ড্রেন নির্মাণ কাজ করা হবে। এখনো কাউকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। তবে বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেনে মিঠু কাজ করাচ্ছেন।

আজমল হোসেন মিঠুর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তালুকদার এন্টার প্রাইজ এ কাজটি করছে। আমি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসরাক আলী কাজ তদারকি করছি। বালু ইট বিক্রি করা হয়নি। বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে রেখেছি।

রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসরাক আলী বলেন, আমি ড্রেনের কাজ করছি না। ঠিকাদার কাজ করছে বলে ফোন রেখে দেন।পরে আর ফোন ধরেননি।

জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীর লিখিত পত্র পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত