মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের ৩৬ দিন পর সুচিত্রা শব্দকর (৪০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুবাস বাউরী ওরফে নুনু (৫০) কে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইন এলাকায় নিজ বাড়ির আঙ্গিনার পাশে মাটি খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুচিত্রা শব্দকর বাগানের পশ্চিম লাইন এলাকার সুবাস বাউরী ওরফে নুনুর স্ত্রী। এই দম্পতির ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে চলতি বছরের ২২ জুন নিখোঁজ হন সুচিত্রা শব্দকর। প্রায় ৩৬ দিন পর বুধবার সকালে মেয়ে নিহত সুচিত্রার মেয়ে সীমা শব্দকর (২২) এর জেরার মুখে সুবাস একপর্যায় স্বীকার করে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে সুচিত্রার মৃত্যু হলে সে লাশ গোপনের জন্য বাড়ির আঙ্গিনার পাশে পুঁতে রেখেছে। একথা শুনে মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে সুবাস পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে এলাকার লোকজন তাকে পাত্রখোলা জামে মসজিদ এলাকা থেকে আটক করে বাড়িতে এনে গাছের সাথে বেঁধে রেখে কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) শহীদুল হক মুন্সী, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান, ওসি (তদন্ত) সোহেল রানার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর ১টার দিকে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক সুবাস বাউরী পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে জানান।

কমলগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক মহাদেব বাচাড় জানান, নিহত লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘাতক সুবাস বাউরী নেশাগ্রস্ত ছিলেন। সব সময় মদ্যপানসহ নানা নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করতেন।

কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত গৃহবধূর লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।