নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০১:০২

শাবির ফুড কোর্ট ও টং দোকান হঠাৎ বন্ধ, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ক্যান্টিন-ক্যাফেটরিয়া আগে থেকেই বন্ধ। এবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের খাবার ও টং দোকান।

মঙ্গলবার সকাল থেকে এগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে ক্যাম্পাসে এখন পানিও কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সংগ্রহে আসা সংবাদকর্মীরাও পড়েছেন খাদ্যসংকটে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলন দমাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই দোকানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে কেন দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে তা তাদের জানা নেই।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের হামলার পর গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ১৭ জানুয়ারি দুপুরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

এর পরদিন থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো হলের ক্যানটিন ও দুটি ক্যাফেটরিয়া।

এর মধ্যেই ক্যাম্পাসে থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে ২৮ জন অনশনে আছেন। বাকিরা বিশ্ববিদ্যলয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে রান্না করে রাতের খাবার খেতেন। তবে দিনের খাবার এবং চা-নাশতা তারা ক্যাম্পাসের ফুড কোর্ট ও টং দোকান থেকেই কিনে খেতেন।

শাবির একাধিক শিক্ষার্থী জানান, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ক্যাম্পাসের প্রায় সব টং দোকান আগেই বন্ধ করে দিয়েছেন। গোলচত্বরের পাশে কেবল দুটি টং দোকান চালু ছিল। এ ছাড়া মুক্তমঞ্চের পাশে রয়েছে তিনটি ফুড কোর্ট।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আজকে সকাল থেকে সবগুলো ফুড কোর্ট ও দুটি টং দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে ক্যাম্পাসে এখন চা-পানিও পাওয়া যাচ্ছে না। চা খাওয়ার জন্যও প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে হচ্ছে।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘আমরা যার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি তিনি আসলে মানুষ না। মানুষ হলে এতটা মানুষের জীবনের চাইতে তার পদ বড় হতো না।’

তিনি বলেন, ‘উপাচার্য তার ডেভিল পাওয়ার দেখাচ্ছেন। আমাদের আন্দোলন বন্ধ করতে সব খাবারের দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের যেসব অ্যাকাউন্টে টাকা আসত তা বন্ধ করিয়েছেন। আমাদের কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থীকেও নাকি আটক করিয়েছেন। তবে এসব করে উপাচার্য নিজের পতন ঠেকাতে পারবেন না।’

বিশ্ববিদ্যলয়ের ফুড কোর্টের এক ইজারাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দোকান আজ থেকে বন্ধ করে দিতে বলেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দোকান খোলা যাবে না বলেও জানিয়েছে। ফলে আমরা দোকান বন্ধ করে দিয়েছি।’

তবে খাবারের দোকান বন্ধের নির্দেশনার কথা অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আশগীর কবীর বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি কোনো নির্দেশনা দিইনি। যারা বন্ধ করেছে তারা বলতে পারবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত