বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৩০

চাউলধনী হাওর দখলের পায়তারা

জামিনে মুক্ত হয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে সিলেটের বিশ্বাথের চাউলধনী হাওর দখলের পায়তারা করছে স্কুল ছাত্র সুমেল ও কৃষক দয়াল হত্যা মামলার আসামীরা।

‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও, জলদস্যু তাড়াও, ভূমি খেকো হঠাও’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীরগাঁও গ্রামের মনোয়ারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভা এমনটি অভিযোগ করেন বক্তারা। এসময় আসামিদের জামিন বাতিল করার দাবিও জানিয়েছেন বক্তারা।

প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মুহিবুর রহমান। বক্তব্যে তিনি বলেন, খুনি সাইফুলের দখলের থাকায় দীর্ঘ ১১বছর হাওর পাড়ের কৃষকরা অবরোদ্ধ ছিলেন। আইনি বাধা থাকলেও সাইফুল বাহিনী হাওরের পানি শুকিয়ে মাছ ধওে বিক্রি করায় চাষাবাদ থেকেও বঞ্চিত ছিলেন কৃষকরা। তবে, এবার খুনি সাইফুল জেলে থাকায় ২৫ গ্রামের কৃষকরা চাষাবাদ করে ফসল ঘরে তুততে পেরেছন, সেজন্য সবার মুখে হাফি ফুটেছে। তাই হাওর দখলের জন্য আর কোন জলদস্যুর সৃষ্টি হলে হাওর পাড়ের কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।

চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, সংগঠনের উপদেস্টা আজম আলী মেম্বার, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আনহার মিয়া, শাহীন মিয়া ও উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক এম এ রব।
আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শফিক আহমেদ পিয়ারের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আন্দোলন কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক হাজী আরিফ উল্লাহ সিতাব, শামসুদ্দিন মেম্বার, নিহত সুমেলের চাচা নজির উদ্দিন, আমতৈল গ্রামের মো. মাহতাব উদ্দিন, সত্তিশ গ্রামের ইব্রাহীম আলী, দৌলতপুর গ্রামের আজাদুর রহমান, নোয়াগাঁও গ্রামের রওশন আলী।

সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা ছমির উদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া মেম্বার।

প্রতিবাদ সভায় শওকত আলী, মাহফুজ আলী, জাবের মিয়া, জুনেদ মিয়া, রফিক মিয়া, আজাদ আলী, নজরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, ছায়েদ মিয়া, আব্দুল মতিন, আহমদ আলী, হুমায়ুন আহমদ, সিতাব আলী, হুসেন মিয়া, মাজেদুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, লায়েক মিয়া, কয়েছ আলী, বুরহান মিয়া, শফিক মিয়া, জাহেদুল ইসলাম রিপন, তারেক মিয়া, শহিদুল ইসলাম, সুহেল মিয়া, কুত্বু উদ্দিন, রিপন মিয়া, রুহেল উদ্দিন, জয়েল মিয়া, ধন মিয়া, বাবুল মিয়া, আতাউর রহমান, আব্দুর রর, মাহমদ আলী, মানিক মিয়া, এখলাছুর রহমান, নাহিম মিয়া, হাফিজুর রহমান, আফছর আলী, কালা মিয়া, শানুর আলী, তাজর আলী, নিজাম উদ্দির, দবির মিয়া, লাল মিয়া, আনছার আলী, আব্দুল মোমিন, হেলাল আহমদ, সোহাগ আহমদ, আরিফ মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, ইছহাক আলী, ্এখলাছুর রহমান, লিয়াকত আলী, আছাব আলী, জাহির আলী, তজম্মুল আলী, সিতাব আলী পংকি, নূরুল হক, ইসলাম উদ্দিন, তফুর মিয়াসহ ২৫ গ্রামের কৃষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত