নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৮:০৪

সালতামামি ২০১৫: মেয়রহীন সিলেট সিটি করপোরেশন

জনগণের রায় নিয়ে ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। ২০১৫ সালে এসেই হত্যা মামলার আসামী হয়ে কারাবন্দী হলেন তিনি। মেয়র পদ থেকেও বহিষ্কৃতও হলেন। ফলে ২০১৫ সালের পুরোটাই মেয়রহীন ছিলো সিলেট সিটি করপোরেশন। কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামী হয়ে এ বছরের শুরুতেই সাময়িক বহিষ্কৃত হন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে।

এরপর প্যানেল মেয়রদের মধ্যে বিবাদের কারণে ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদে কেউ বসেন নি সিসিকে। ফলে পুরো বছরই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হয় সিলেট সিটি করপোরেশন।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী হওয়ায় বহিষ্কার করা হয় তাকে।

২০১৩ সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী।

২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিট প্রদান করেন সিআইডি সিলেট অঞ্চলের এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল। এতে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকেও আসামী করা হয়। আরিফ ছাড়াও খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিস চৌধুরী ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গৌছসহ নতুন করে ১১ জনকে আসামী করা হয়। এরপর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন আরিফ। এরপর ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিট আদালতে গৃহীত হয়। আদালত এই চার্জশিট আমলে নিয়ে আরিফসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরিফ।

এরপর ৭ জানুয়ারি তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। আরিফুল হক বহিষ্কার হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়া নিয়ে প্যানেল মেয়রদের দেখা দেয় বিরোধ। প্যানেল মেয়র কয়েস লোদি আর সালেহ আহমদের মধ্য এই বিরোধ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দুই প্যানেল মেয়রের এই বিবাদের কারণে প্রায় একবছর ধরে জনপ্রতিনিধির বদলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা চালাচ্ছেন সিলেট সিটি করপোরেশন।

আর আত্মসমর্পণের পর থেকেই কারাবন্দী রয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলা বর্তমানে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত