তাহিরপুর প্রতিনিধি

০৪ মার্চ, ২০২৩ ২২:০৪

বাঁধ রক্ষায় সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে: পানিসম্পদ সচিব

হাওররক্ষা বাঁধ রক্ষায় সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে। অনিয়ম কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। হাওরের এক ফসলী বোরো ধান কেটে কৃষকরা যাতে ঘরে তুলতে পারেন সরকার সে ধরনের ব্যবস্থা আগেই নিয়েছে বলে জানিয়েছন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল হাসান।

তিনি আরও বলেন, দেশের অন্যতম খাদ্য উৎপাদনশীল এলাকা সুনামগঞ্জ। আশা করছি ৭ মার্চের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এজেলায় এ বছর ১ হাজার ৭৮ টি পিআইসির মাধ্যমে হাওর এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।

শনিবার (৩ মার্চ)দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাকাটুকিয়া এলাকায় নির্মিত বাঁধ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।

এর পূর্ব জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার করচার হাওর ও জামালগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি হাওরের ফসল রক্ষা বাধ পরিদর্শন করেন।

সচিব নাজমুল হাসান এসময় আরও বলেন, প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ধান উৎপন্ন হয় হাওরাঞ্চলে। তাই সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের তদারকির জন্য পানি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবদের নিয়ে ৯ সদস্য বিশিষ্ট্য ৩ টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সুনামগঞ্জের ফসল রক্ষা বাঁধের উপর সার্বক্ষণিক নজর দারি রাখছেন।

সচিব নাজমুল আহসান আরও বলেন, হাওর এলাকায় ফসল রক্ষা করার জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাঁধের কাজে কেউ যদি কোনো অনিয়ম কিংবা দূর্নীতি করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাঁধ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশল সাদিউর রাহিম জাদিদ, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা, এসিল্যান্ড আসাদুজ্জামান রনি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার এসিল্যান্ড শিল্পী রানী মদক এবং সিলেট ও সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত