নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ জুন, ২০২৩ ২২:৫০

বর্জনের পরও ইসলামী আন্দোলনের মাহমুদুল পেলেন সাড়ে ১২ হাজার ভোট

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ১২ জুন ভোট বর্জন করার পর সিলেটে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান মাঠে ছিলেন না। ভোটের আগ পর্যন্ত তিনি কোনো-প্রচার প্রচারণায়ও বের হননি তিন।

তবে ২১ জুনের সিলেট সিটি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের হাতপাখা প্রতীকে ১২ হাজার ৭৯৪টি ভোট পড়েছে।

এদিকে বুধবার সিলেট সিটি নির্বাচন শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলর কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেছেন, ‘সিলেট নগরের সচেতন জনগণ অথর্ব, দলান্ধ, অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনের এই নির্বাচন বর্জন করেছে। শুধু কিছু কাউন্সিলরদের ভোটার ছাড়া আর কেউ ভোটকেন্দ্রে যায়নি।’

মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গত ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনে আমাদের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ন্যক্কারজনক হামলা ও সিইসির জঘন্য মন্তব্যের পর আমরা সিলেট সিটির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিই। মূলত যেখানে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা ও সিইসির এমন জঘন্য বক্তব্য পাওয়া যায় সেখানে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না তা সহজেই অনুমেয়।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই সরকার ও এই সিইসির অধীনের কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশা করা যায় না। বরং ভোটাররা নিজেদের ওপর হামলার আশঙ্কায় ভীত থাকেন। আলহামদুলিল্লাহ, সিলেটে আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় সিলেটের সচেতন জনগণও নির্বাচন বর্জন করেছেন। প্রমাণ হয়েছে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছেন, সরকারের সঙ্গে নেই। সিলেট সিটি নির্বাচনে আমার কথায় সাড়া দিয়ে নির্বাচন বর্জন করায় সিলেটের আপামর জনসাধারণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।

এবার মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০, নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, ৪৬ শতাংশ ভোটার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত