নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুন, ২০২৩ ২১:২০

নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনই আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ: আনোয়ারুজ্জামান

‘‘আমার মত একজন ক্ষুদ্র কর্মীকে নগরবাসীর স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন এর থেকে বড় পাওয়া আর হতে পারে না।’’

সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেল ৬টায় সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনীত করেছেন বলে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আমার জন্য কাজ করেছেন, তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন, আমাকে সহযোগিতা করেছেন। ক্লিন, গ্রিণ ও স্মার্ট সিলেট নির্মাণে আমি যে প্রতিজ্ঞা করেছি মানুষ সেটা বিশ্বাস করেছেন, আর এ কারণেই আমাকে ভোট দিয়েছেন।’’

‘‘মানুষের যে প্রত্যাশা সে প্রত্যাশা পূরণে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমার লক্ষ্য নগরীর পানি নিষ্কাশন। একটু বৃষ্টি হলেই শহর পানিতে ডুবে যায়, বাড়িঘরে পানি ঢুকে যায়। সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সাথে কথা বলে মাস্টার প্ল্যান করে এই সমস্যার সমাধান করা হবে। এটাই প্রথম চ্যালেঞ্জ।’’

তিনি বলেন, ‘‘প্রথম যে কাজটা করতে চাই এই শহরকে ক্লিন করতে চাই। প্রথমে শহরটা সুন্দর হোক তারপর রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে। শঙ্কা ছিলো মানুষ আমাকে ভোট দিবে কি দিবেনা আমি আজকে অত্যন্ত আনন্দিত যে মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন। তারপরও এই মুহূর্তে মন ভালো না কারণ মানুষকে আমি যে কমিটমেন্ট করেছি এই কমিটমেন্ট আমি বাস্তবায়ন করতে পারব কি পারব না এটা নিয়েই আমি দুশ্চিন্তায় আছি।’’

‘‘আমি আমার প্রতিজ্ঞা অন রেকর্ড বলেছি, এক বছর পরে যখন আমাকে জিজ্ঞেস করা হবে যে আমি আমার প্রতিজ্ঞা কতটুকু রাখতে পারলাম, এটা নিয়েই আমি শঙ্কিত।

‘‘আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমাকে তৌফিক দান করুন। সরকারের উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয় নাই, বরঞ্চ সরকার কৃচ্ছতা সাধন এর জন্য বলছে। যার অর্থ হচ্ছে অপচয় বন্ধ করা, সরকারি কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণের নামে অপ্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ করবেন এ ধরনের বিষয়গুলো না করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী বলছেন।’’

আনোয়ারুজ্জামান আরও বলেন, ‘‘একটা প্রকল্পে যখন টাকা ইনভেস্ট করা হবে, তখম তার আউটপুট যাতে বেশি হয়, সেটা দেখতে হবে। এটি একটি নৈতিক বিষয়। আমি যে কাজ হাত দিবো, সে কাজ শেষ করব। যদি দেখি কোন কাজ করতে পারব না তোকে হাত দিব না। আমি চাইনা সরকারের টাকা জনগণের টাকা নষ্ট হোক। আমি আগে প্ল্যান করবো, তারপরে আটঘাট বেঁধেই সে কাজে লাগবো।

‘‘যার নাম বিক্রি করে অপকর্ম করবে সে যদি স্বচ্ছ থাকে তাহলে তা সম্ভব হবে না। আমার সাথে তা সম্ভব না। আমি বিশ্বাস করি আমার সাথে যারা রাজনীতি করেন আমার যত সহযোদ্ধা তারা এরকম করবে না।’’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত