১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:২৬
সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া ৯ জনের মধ্যে ৪ জনই মারা গেছেন। সবশেষ সোমবার সকালে একজন ও রোববার রাতে আরেক দগ্ধ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এঘটনায় অগ্নিগদ্ধ হওয়া বাকী ৫ জনের অবস্থাও ভালো নেই। তারা সকলেই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে মুহিন আহমদের অবস্থা সবচেয়ে আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাকে সোমবার লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে মারা যান সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪১ বছর বয়সী বাদল দাস। এর আগে রোববার রাতে সিলেট সদর উপজেলার ৩২ বছর বয়সী তারেক আহামেদের মৃত্যু হয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর মিরাবাজার এলাকার বিরতি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটে। বিস্ফোরণে ৯ জন দগ্ধ হয়েছিলেন। এদের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হলো।
ফিলিং স্টেশনের মালিক আফতাব আহমদ লিটন জানান, সবশেষ মারা যাওয়া দুজনের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বাকী আহতদের অবস্থাও ভালো নয়।
বিস্ফোরণে ৯ জনের মধ্যে ৭ জন ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী ও ২ জন পথচারী। ৫ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনার পর তৎক্ষণাৎ আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ ৯ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। অগ্নিদগ্ধদের শরীর ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে যায়।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা ও ফিলিং স্টেশনটির ম্যানেজার রুমেল সিদ্দিক ও ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) মারা যান।
ফিলিং স্টেশনের মালিক আফতাব আহমদ লিটন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওই সময় কমপ্রেসর কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।’
দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অন্য ৫ জন হলেন- শাহপরান এলাকার বাসিন্দা মিনহাজ আহমদ, মুহিন আহমদ, সদর উপজেলার রুমান আহমদ, তাহিরপুরের শ্রীপুরের রিপন মিয়া ও একই এলাকার লুৎফুর রহমান।
আপনার মন্তব্য