২০ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ২২:৩৩
বাদাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্র
শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে- এমন গুজব রটিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই মামলা করেন।
এতে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এছাড়া হামলায় জড়িত ৫ জনকে (আগে আটক) মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হবে না। তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না।
গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হামলা-ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাদাঘাট বাজারে স্থানীয় হিফজুল ফজল পরিষদ নামের একটি সংগঠন দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে। গতকাল রাতে ওই মাহফিলে আলোচিত ধর্মীয় বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী বক্তব্যে দেবেন বলে প্রচার করেন আয়োজকেরা। কিন্তু পুলিশ আয়োজকদের জানিয়ে দেয়, রফিকুল ইসলাম সেখানে বক্তব্য দিতে পারবেন না। রফিকুল ইসলাম রাতে বাদাঘাট বাজারে এলেও মাহফিলে বক্তব্য দেননি। তার বক্তব্য দেওয়া, না দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আয়োজকদের আলোচনার পর আয়োজকেরা রফিকুল ইসলামের বক্তব্য ছাড়াই মাহফিল চালিয়ে নিতে সম্মত হন। পরে রাত ১২টার দিকে ওই দিনের মাহফিল সমাপ্ত হয়।
তখন একটি পক্ষ গুজব রটায়, রফিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বাদাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে গেছে। এতে কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে মিছিল নিয়ে ওই তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করেন। তখন এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক দেখা দেয়। পুলিশ ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আপনার মন্তব্য