নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫ ১৯:৪৬

সাবেক মন্ত্রী ইমরানের জামিন নামঞ্জুর, আরও ৩ মামলায় গ্রেপ্তার

সিলেটে দুটি হত্যাসহ ৩  মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে হাজির করা হয়।
 
ইমরান আহমদকে আদালতে আনার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার নির্বাচনি এলাকা সিলেট-৪ আসনের বিক্ষুব্ধ জনতা আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন। তারা তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারেন এবং ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন।
 
সিলেটের কোতোয়ালি থানায় শিক্ষার্থী পঙ্কজ কুমার নাথ হত্যা মামলায় এবং গোয়াইনঘাট উপজেলার ত্রিপল মার্ডার মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। মোট তিনটি মামলার শুনানিতে জামিনের আবেদন করলে দুটি হত্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
 
আইনজীবীরা জানান, দুটি গুরুতর হত্যা মামলার জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় ইমরান আহমদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এসব তথ্য  নিশ্চিত করেন সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাসিস্টান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি)  আলী হায়দার ফারুক বলেন, সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ তিনটি আদালতে  ইমরান আহমদকে আজ হাজির করা হয়েছিলো। গ্রেপ্তার দেখানোর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
 
আদালত সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে সিলেট মহানগরের কিনব্রিজ এলাকায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা করা হয়। এতে পঙ্কজ নামের এক ছাত্র মারা যান। ৫ আগস্টের পর এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে।

বুধবার সকালে তাকে আদালতে তুলে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। এসময় আদালতে তার পক্ষের আইনজীবি জামিনের আবেদনও করেন। তবে বিজ্ঞ বিচারক সেটি নামঞ্জুর করেন। এছাড়া গোয়াইনঘাটের আরেকটি ট্রিপল মামলা এ বিস্ফোরক আইনের একটি। মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সিলেট-৪ আসনের পাঁচবার সংসদ সদস্য হয়েছেন ইমরান আহমদ। ২০১৮ সালে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরের বছর তাকে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করেছিলেন শেখ হাসিনা। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত শেখ হাসিনার সরকারেও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী হয়েছিলেন ইমরান আহমদ।
 
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর তার মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। তাদের অনেকে দেশ ছাড়েন।

সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২১ অক্টোবর রাতে রাজধানী ঢাকার বনানী থেকে ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত