কুলাউড়া প্রতিনিধি

০৬ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৮:২২

কুলাউড়া আ’লীগ সম্পাদকের ওপর হামলারকারীদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভূকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের রেনুর ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে কুলাউড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে তাঁর সমর্থকেরা।

দলীয়, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার কাদিপুর ইউপি চত্বরে ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনে দলীয় বিরোধের জের ধরে হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের রেনু আহত হন। রফিকুল ইসলামের রেনুর ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আ’লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও ভূকশীমইল ইউনিয়নবাসী শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে।

সহস্ত্রাধিক নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে একটি বিশাল মিছিল ভূকশীমইল থেকে কুলাউড়া পৌরশহরের স্টেশন চৌমুহনায় এসে পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে শহর প্রদক্ষিণ করে।

পরে স্টেশন চৌমুহনাস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সম্মুখে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রউফ, ছাত্রলীগের একাংশের উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক কামরুল বকস প্রমুখ। সভায় বক্তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে তাঁরা হুশিয়ারি দেন।

এদিকে রফিকুল ইসলাম রেনুর ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে শহরের সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার সকাল থেকেই অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের পাঁচ-ছয় জন নেতা-কর্মী জানান, কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সফি আহমদ সলমান ও রফিকুল ইসলাম রেনুর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। নির্বাচনে সফি আহমদ সলমান দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

নির্বাচনে রফিকুল দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ও বিজয়ী মেয়র শফি আলমের পক্ষে কাজ করেন বলে সফি অভিযোগ তুলেন। এরই জের ধরে শুক্রবারের হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

কুলাউড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জুনায়েদ আলম সরকার বলেন, শুক্রবারের হামলার ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি ঠেকাতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।


প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দলীয় বিরোধের জের ধরে কুলাউড়া কাদিপুর ইউপি যুবলীগের সম্মেলনে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু গুরুতর আহত হন। এসময় জেলা যুবলীগের সদস্য আবু মোহাম্মদ উপজেলা যুবলীগ নেতা আতাউর রহমান আতিক ও উপজেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইস্রাব আলী ইছই আহত হন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত