নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:০৮

জাফর-প্রণব মুক্তির দাবিতে ‘নাগরিক সংহতি’ সমাবেশে পুলিশের বাধা, তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ

সিলেটের বামপন্থী দল ও সংগঠন সমূহের উদ্যোগে ‘মিথ্যা মামলা’য় গ্রেপ্তার বাসদ নেতা আবু জাফর, প্রণবজ্যোতি পালসহ অন্যদের মুক্তির দাবিতে ঘোষিত ‘নাগরিক সংহতি’ কর্মসূচি পুলিশি বাধার মুখে পড়েছে। পরে এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সংগঠনগুলো।

শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সিলেট শহিদ মিনারের সামনে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ শুরু ঠিক আগ মুহূর্তে তাতে বাধা দেয় পুলিশ। আয়োজনের মাইক বন্ধ করে দেয়।

এর আগে সিলেটের প্রবীণ রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে সংহতি জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন সিলেট আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সুয়েব, স্থপতি রাজন দাশ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নীলাঞ্জন দাশ টুকু, পেশাজীবী ফোরামের নেতা আব্দুল ওয়াদুদ, নাট্য নির্দেশক নাহিদ পারভেজ বাবু, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির নেতা মোহাম্মদ মনির উদ্দীন, সিপিবি সিলেট জেলার সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি সম্পাদক সিরাজ আহমেদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সমন্বয়ক মহিতোষ দেব মলয়, বাসদ (মার্কসবাদী) ও বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলার সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাস, বাসদ সিলেট জেলার সদস্য নাজিকুল ইসলাম রানা, সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সদস্য অ্যাডভোকেট রনেন সরকার রনি, আয়কর আইনজীবী মুখলেছুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের আহ্বায়ক মাছুমা খানম, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মলয় চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সভাপতি মনীষা ওয়াহিদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল সিলেট নগর শাখার সভাপতি তানজিনা বেগম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক বুশরা সুহেল প্রমুখ।

পুলিশে বাধায় সংহতি সমাবেশ পণ্ড হওয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহিদ মিনার থেকে শুরু হয়ে সুরমা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।

বাসদ সিলেট জেলার সদস্য নাজিকুল ইসলাম রানা পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাস।

এ সময় বক্তারা পুলিশের অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা জানান।

তারা বলেন, 'নাগরিক সংহতির মতো একটি সাধারণ কর্মসূচিতে পুলিশের এ ধরণের আচরণ আমাদের হতবাক করেছে। জুলাই গনঅভ্যুত্থানের পরও সভা সমাবেশে পুলিশি হস্তক্ষেপ ফ্যাসিবাদী আমলের কথা মনে করিয়ে দেয়। গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর যেতে না যেতে সভা সমাবেশে পুলিশি হস্তক্ষেপ মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করছে। পুলিশের এই আচরণ এবং মিথ্যা ও হয়রানিরমূলক মামলায় নেতৃবৃন্দের গ্রেপ্তার প্রমাণ করে বর্তমান সরকার এবং প্রশাসন আগের পথেই হাঁটছে।

তারা অবিলম্বে নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত