
০৭ অক্টোবর, ২০২৫ ২১:২০
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ঈদ এবং পূজা কোনোভাবেই এক হতে পারে না। এটিই হলো বাস্তবতা। পূজা আলাদা, সম্পূর্ণ তাদের ধর্মীয় ব্যাপার। আর ঈদ হলো মুসলমানদের খুশির ব্যাপার। এটির সঙ্গে ওটি কখনওই এক হতে পারে না।
মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ পৌরসভা প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণসমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পিআরের (আনুপাতিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা) ব্যাপারে আমরা বলেছি। আমরা শেষ পর্যন্ত দাবি করতেই থাকবো। তারপর যদি সরকার না মানে গণভোটের কথা আমরা বলেছি। আর গণভোটের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি সরকার আমাদের কথা আমলে নেবে। তারপর পরবর্তীতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। দেশের অবস্থার উপর নির্ভর করে ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনেও আমরা পিআর পদ্ধতির দাবি জানিয়েছিলাম। এটি দেশের এবং মানবতার কল্যাণের জন্যে। কারণ বার বার আমরা দেখেছি বর্তমান পদ্ধতির যে নির্বাচন তার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট চরিত্রের সরকার তৈরি হয়।
চরমোনাই পীর বলেন, এখানে কালো টাকার দৌরাত্ম্য তৈরির মাধ্যমে মানুষ ভোট দেওয়ার পরিবেশ পায় না। বেশিরভাগ ভোটারই তাদের ভোটের মূল্যায়ন পায় না। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিটি ভোটারের মূল্যায়ন হবে। ফ্যাসিস্ট চরিত্রের সরকার তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে না। প্রতিটি দলের প্রতিনিধি সংসদে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজনীয় সংস্কার ও জুলাই সনদেরর আইনগত ভিত্তি প্রদান এবং অপরাধী ও খুনিদের দৃশ্যমান বিচারের দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল।
সাধারণ সম্পাদক সামছুল হুদার পরিচালনায় এতে বক্তৃতা করেন মুফতি তাজুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মঈন উদ্দিন খান তানভির, আব্দুল মোছাব্বির রুনু, সোলায়মান গাজী প্রমুখ।
সমাবেশে হবিগঞ্জের ৪টি আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রর্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
প্রার্থিরা হচ্ছেন- হবিগঞ্জ-১ মুফতি তাজুল ইসলাম, হবিগঞ্জ-২ মুফতি শেখ হাদিসুর রহমান, হবিগঞ্জ-৩ আলহাজ্ব মহিব উদ্দিন আহমেদ সোহেল, হবিগঞ্জ-৪ আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন। সমাবেশের আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
আপনার মন্তব্য