
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৪৭
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা নদীর বালুমহালের ইজারা সীমানা বহিঃর্ভূত এলাকা থেকে বালু লুটের ঘটনায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০জন কে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) নদীর ইজারাদারের পক্ষে মোশারফ হোসেন আরিফ তালুকদার ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে।
অপরদিকে,গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) তাহিরপুর থানায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক।
জানা গেছে,যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ বালুমহালের ইজারা সীমানার বাইরে গিয়ে গত ৬ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত রাতের আঁধারে নিষেধ সত্ত্বেও তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন বা ছাড়পত্র ছাড়াই পুরান লাউড়েরগড় মৌজার লাউড়েরগড়,শাহ আরেফিন সেতু, শ্রী অদ্বৈত মন্দির এবং রাজাই মৌজার শিমুল বাগান সংলগ্ন ইজারাবহির্ভূত নদীর পাড় কেটে বালু লুট করে ব্লাকহেড, স্টিল ও বারকি নৌকার মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বালু তোলার কাজ অব্যাহত রাখে। এতে নদীর পাড় ভেঙে ভৌগোলিক কাঠামো, পরিবেশ, মৎস্য ও জলজ প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দুটি মামলার উপজেলার লাউড়েরগড় গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে খাজা মাইনউদ্দিন (৬৫), পুরাণ লাউড় গ্রামের মৃত ফালু মিয়ার ছেলে মোঃ আক্কাছ (৫৩), লাউড়েরগড় গ্রামের কিবরিয়ার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম মাস্টারসহ ৮৮জনকে এজাহারে নামীয় আসামি করা হয়ে আর ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
ইজারাদার নাসির মিয়া জানান,আমরা জাদুকাটা নদীর পাড় কাটার বিরুদ্ধে সব সময় আছি আর আগামীতেও থাকবো। আদালতের নির্দেশনা মেনে সবাইকে সর্তক থাকতে ও কাজ করতে শ্রমিকদের বলছি। পাহাড়াদার ও বসিয়েছি যেন কেউ পাড় কাটতে না পারে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক বলেন, নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ দেলোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
আপনার মন্তব্য