নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ২০:২৯

রোগীর স্বজনদের সাথে ঝগড়া, ধর্মঘটের ডাক ওসমানী হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

রোগীর স্বজনদের সাথে সাথে ঝগড়ার জের ধরে ধর্মঘট ডেকেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ইন্টার্ন  চিকিৎসকরা। বুধবার সন্ধ্যায় তারা ধর্মঘটের ডাক দেন।

ইন্টার্ন  চিকিৎসকদের অভিযোগ এক রোগীর স্বজনরা ইন্টার্ন  চিকিৎসকদের উপর হামলা চালিয়েছেন। তবে রোগীর স্বজনরা পাল্টা অভিযোগ করে জানান, চিকিৎসা অবহেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্টার্ন  চিকিৎসকরা রোগীর স্বজনকে মারধর করেন।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ওসমানী হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের অন্তঃসত্ত্বা সোমা আক্তারকে। আজ দুপুরে তার ব্যথা ওঠলে চিকিৎসক আলাট্রাসনোগ্রাম টেস্ট করান। টেস্টের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক জানান, গর্ভেই বাচ্চা মারা গেছে। তবে কিছুক্ষণ পর সোমা বেগম নিজের গর্ভে বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করতে পান। এ বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে যান সোমার ভাই ও বোন। এসময় দায়িত্বরত ইন্টার্ন  চিকিৎসক তামান্না জান্নাত রিমুর সাথে তার কথা কাটাকাটি  হয়।

রোগীর ভাই তামিম অভিযোগ করে বলেন, আমার ডাক্তার ডাকতে গেলে তামান্না আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এসময় কথা কাটাকাটি হলে সব ইন্টার্ন  ডাক্তাররা এসে আমাদের উপর হামলা চালান। আমার আরেক বোন পান্না আক্তারকে তারা এখন পর্যন্ত আটক করে রেখেছেন।

তবে ওসমানী হাসপাতাল ইন্টার্ন  চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মাজহারুল হক অমিত বলেন তামিম ও পান্না বাইরে থেকে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে ডা তামান্নার উপর হামলা চালিয়েছেন। এ হামলার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা ধর্মঘট আহ্বান করেছি।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রসূতি সোমা আক্তারকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে বেসরকারি মহানগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে সোমার বোন পান্নাকে আটকে রেখেছেন ইন্টার্ন  চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে এ নিয়ে বৈঠকে বসেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ওসমানী হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আব্দুস সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত