নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মার্চ, ২০১৬ ২২:২০

কোম্পানীগঞ্জে ১০ বিদ্রোহী নিয়ে বিপাকে আ.লীগ, সুযোগ কাজে লাগাতে চায় বিএনপি

২য় দফায় ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ছয়টি ইউপিতে আগামী বৃহস্পতিবার  ভোট গ্রহণ হবে। এই ছয়টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধিতা করছেন। প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় প্রতীক বঞ্চিত অনেক প্রার্থীই বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এতে করে অনেকটাই বিপাকে পরতে পারেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদেরকে এমনটা মনে করছেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন মাত্র ২ জন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংখ্যা ১০। এতে নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পরার শংকা রয়েছে বলে মত আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ।

আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বেশি থাকায় একাট্টা হয়ে কাজ করলে ফসল ঘরে আনা যাবে বলে মনে করছেন বিএনপির তৃনমুলের কর্মীরা। যতটা সম্ভব সুযোগ কাছে লাগাতে তাই প্রচার প্রচারণার শেষ সময় পার করেছেন তারা। উপজেলার তেলিখাল ও ইছাকলস ইউপিতে বিএনপি কোন প্রার্থী দিতে পারেনি। তাই দলটির সাথে সংশ্লিষ্ট ২জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপরই ভরসা করছে বিএনপি।

পশ্চিম ইসলামপুর ইউপির নির্বাচনে নজরুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে এ ইউপিতে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এখলাছুর রহমান। পূর্ব ইসলামপুর ইউপিতে রয়েছে বিএনপির অপর বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় প্রার্থী তাজ উদ্দিন আহমদ এর সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী মনির উদ্দিন প্রতিদন্ধিতা করছেন।

কোম্পানীগঞ্জের পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে বিএনপির প্রার্থী মো.নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে  বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন এখলাছুর রহমান। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো.জামাল উদ্দিনের বিপরীতে এই ইউপিতেই দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে ৪ জন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির শামছু মিয়া চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এন এম মহিউদ্দিন আল মামুন, সতন্ত্র প্রার্থী মো. জাফরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করায় গত শুক্রবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় বহিস্কার করা হয়েছে এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের।

পূর্ব ইসলামপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো.আলী আমজাদ, বিদ্রোহী প্রার্থী ইলিয়াছুর রহমান, বিএনপির তাজ উদ্দিন আহমদ, দলটির  বিদ্রোহী প্রার্থী মনির উদ্দিন ও সতন্ত্র প্রার্থী মো.বাবুল মিয়া চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্ধিতা করছেন।

তেলিখাল ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আপ্তাব আলী ওরফে কালা মিয়া, দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী এ ইউনিয়নে রয়েছেন আবদুল হক ও কাজী আবদুল আদুদ আলফু মিয়া, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রিয়াজ উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদন্ধিতা করছেন।

ইছাকলস ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একলাসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.কুটি মিয়া প্রতিদন্ধিতা করলেও ইউপিটিতে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই।

উত্তর রণিখাই ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী জালাল মিয়া, বিদ্রোহী প্রার্থী ফরিদ মিয়া, বিএনপির আবদুল মালিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রতিদন্ধিতা করছেন।

দক্ষিণ রণিখাই ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাসিম, বিদ্রোহী মো.সিদ্দিকুর রহমান রোকন ও এম এ হান্নান, বিএনপির প্রার্থী মো.আব্দুছ ছোবহান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ বাবলু প্রতিদন্ধিতা করছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত