দেবব্রত চৌধুরী লিটন

০৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:৩৫

নগরীতে অবৈধ বিলবোর্ডের ছড়াছড়ি, বাড়ছে ঝুঁকি

নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গড়ে উঠেছে অবৈধ বিলবোর্ড। ভবনের ছাদ, রাস্তার কিনারে নির্মান করা এসব বিলবোর্ডের কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এসব বিলোবোর্ডের বেশিরভাগই স্থাপন করা হয়েছে অবৈধভাবে। সিলেট সিটি করপোরেশনের অনুমতি না নিয়েই।

বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্থাপন করা এ সকল অনঅনুমোদিত বিলবোর্ড দিয়ে বছরে আয় করছে কোটি কোটি টাকা, এমনটাই জানা গেছে বিজ্ঞাপনী সংস্থার সাথে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজনের সাথে আলাপ করে।

গত সোমবার রাতে নগরীর নাইওরপুলে একটি বহুতল ভবনের ছাদে স্থাপন করা একটি বিলবোর্ড উপড়ে পড়ে ক্ষতগ্রস্থ হয়েছে পাশ্ববর্তী একটি ফার্নিচারের দোকান। বিলবোর্ডের অদুরেই ছিল ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন। ঘটতে পারতো আরো বড় কোন দূর্ঘটনা।

হালকা লোহার এ্যাংগেলে তৈরি অসংখ্য বিলবোর্ড রয়েছে পুরো নগরজুড়ে। ঝড় তুফান সহ যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিল বোর্ড পড়ে ঘটতে পারে যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আসন্ন ঝড়ের মৌসুমের কারণে এসব বিলবোর্ডের কারণে ঝুঁকি আরো বেড়ে গেছে।

প্রতিবছরই এসব অবৈধ বিলবোর্ড ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটলে সিটি করপোরশেনর পক্ষ থেকে এগুলোর বিরুদ্ধে তেমন ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। বরং অভিযোগ আছে, সিটি করপোরশেন সংশ্লিষ্টরাই অবৈধ বিলবোর্ড ব্যবসার ভাগ পেয়ে থাকেন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখার হিসাব অনুযায়ী নগরীতে অনুমোদিত বিলবোর্ডের সংখ্যা ২০১ টি। অথচ নগরীতে অবৈধ বিলবোর্ডই রয়েছে সহস্ত্রাধাক।
নগরীতে কতোটি বিলবোর্ড রয়েছে তা নিশ্চিত নন সিটি করপোরেশেনর কর্মকর্তারাই।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যিনি বিলবোর্ড স্থাপন করেন তাকে সিসিকের অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হয়। আবেদন পাওয়ার পর সরেজমিন স্থানটি দেখে বিলবোর্ড স্থাপনের নিরাপদ মনে হলে তবেই সিসিক অনুমোদন প্রদান করে।

অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন মাস দুয়েক আগে ক্রেন ভাড়া করে অবৈধ বেশ কিছু বিলবোর্ড অপসারণ করেছে। আগামীতেও অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত