সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ মে, ২০১৬ ১৮:২৭

হোটেল,ক্লিনিক ও আবাসিক টাওয়ারে অনুমোদনবিহীন নলকূপ

স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ এর তৃতীয় তফসিল মোতাবেক সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমোদন ব্যতীত পানিয় জলের জন্য কোন নতুন কূপ খনন, নলকুপ স্থাপন অথবা পানি সরবরাহের জন্য কোন উৎসের ব্যবস্থা করা যাবে না। এই অনুমোদন ছাড়া যারা সিলেট মহানগর এলাকায় নলকূপ স্থাপন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সোমবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানকালে হোটেল, ক্লিনিক ছাড়াও বিভিন্ন আবাসিক টাওয়ারে অনুমোদনবিহীন নলকূপ খুঁজে পায় মোবাইল কোর্ট। এসময় সংশ্লিষ্টরা সাতদিনের মধ্যে আইন মোতাবেক সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন গ্রহনের অঙ্গীকার করেন।

সোমবার বেলা ১২টায় প্রথমে অভিযান করা হয় মহানগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাতুলা এলাকায় অবস্থিত ক্রিস্টাল আই টাওয়ারে। ১১ তলা বিশিষ্ট এই টাওয়ারে অনুমোদনবিহীন ৩ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পাইপ সম্বলিত একটি গভীর নলকূপ খুঁজে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ক্রিস্টাল আই কর্তৃপক্ষ আগামী সাতদিনের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন নীতিমালা মোতাবেক অনুমোদন গ্রহনের অঙ্গীকার করেন।

পরবর্তীতে মোবাইল কোর্ট পযায়ক্রমে মহানগরীর আম্বরখানায় অবস্থিত হোটেল কায়কোবাদ ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল হিমেল এবং হোটেল সিটি লিংক-এ অভিযান চালায়। এসব হোটেলের প্রত্যেকটিতে ২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পাইপ সম্বলিত অনুমোদন বিহীন নলকূপ খুঁজে পায় মোবাইল কোর্ট। এসময় এসব হোটেল কর্তৃপক্ষ আগামী সাতদিনের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন নীতিমালা মোতাবেক অনুমোদন গ্রহনের অঙ্গীকার করেন।

পরবর্তীতে মোবাইল কোর্ট রিকাবীবাজারের মেট্রোপলিটন ক্লিনিক ও আরোগ্য পলি ক্লিনিকে অভিযান চালায়। এই দুটি ক্লিনিকেও ২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পাইপ সম্বলিত অনুমোদন বিহীন নলকূপ খুঁজে পাওয়া যায়। এসময় এই দুটি ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ আগামী সাতদিনের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন নীতিমালা মোতাবেক অনুমোদন গ্রহনের অঙ্গীকার করেন।

বেলা ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযান কালে মেট্রোপলিটন পুলিশের ফোর্স ছাড়াও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পানি শাখার উপ সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক তাপাদার, উপ সহকারী প্রকৌশলী সুনীল মজুমদার, ডাটা এন্ট্রি অফিসার আনোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত