নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ নভেম্বর, ২০১৬ ১২:১২

খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগ গঠন ২৯ নভেম্বর

ফাইল ছবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে একমাত্র আসামী করে কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম উম্মে সরাবন তহুরার আদালতে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করলে আদালত শুনানি শেষে এটি গ্রহণ করেন।

এছাড়া আগামী ২৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

অভিযোগপত্রের শুনানির জন্য মঙ্গলবার সকালে আদালতে আনা হয় বদরুল আলমকে। গত ৮ নভেম্বর সকালে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে একমাত্র আসামী করে সিলেট মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) হারুন-উর-রশিদ।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর ডিগ্রি (পাসকোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম (২৭)। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এর পর সিলেটের আদালতে খাদিজার ওপর হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বদরুল। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, আট বছর ধরে খাদিজাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তিনি। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁর ওপর হামলা চালান।

ঘটনার দিন গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পর দিন ৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খাদিজা।

বদরুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করে। পরবর্তীতে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত