বানিয়াচং প্রতিনিধি

২৮ নভেম্বর, ২০১৬ ১৯:১৫

বানিয়াচংয়ে আমনের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

বানিয়াচং উপজেলায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। তারা এখন ব্যস্ত ধান কাটার কাজে। তাদের সাথে কৃষাণীরাও পূর্ণ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর রোপা আমন চাষে ৪ হাজার ৫শ হেক্টর রোপণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কর্তন হয়েছে ১ হাজার ৫শ হেক্টর। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সত্ত্বেও কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। কৃষি উপকরণেরও সংকট দেখা যায়নি। সঠিক সময়ে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, অন্যান্য মৌসুমের চেয়ে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম ও সঠিক সময়ে সেচ দেয়ায় আমনের চাষ খুব ভাল হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু জমিতে জমিতে পোকার আক্রমণ হলেও চাষে তেমন প্রভাব পড়েনি। আর এতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পূর্ণ সহযোগিতা করেছে।

সদর উপজেলার শরীফখানি মহল্লার কৃষক মাসুদ সরদার বলেন, এ বছর আমন ধানের চাষ ভাল হওয়ায় এখন ধান কাটায় ব্যস্ত আমরা। উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের কৃষক সোহরাফ আলী জানান, জমিতে ধান চাষে আমাদেরকে সব ধরণের সাহায্য করেছে বানিয়াচং সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ফলে ধান রোপণ বা কাটতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি।

একই গ্রামের কৃষক সোলাইমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান ভাল হওয়ায় ধান বিক্রি করে কৃষি ঋণ পরিশোধ করতে পারব বলে আশা করছি। তিনি আরও জানান, গত বছর পোকায় আমার দুইটি জমির ধান নষ্ট হয়েছে। এবার সঠিক সময়ে কীটনাশক দিতে পারায় রোপা আমন ভাল হওয়ায় আমি খুশি।

যাত্রাপাশা মহল্লার কৃষক মোজাফফর হোসেন জানান, এবার চাষে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। কারণ গত বছর ধান রোপণে অনেক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছিল। সেজন্য এ বছর চাষে অনেক বেশি মনোযোগী হয়েছি।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, এ বছর রোপা আমন চাষে যে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চাইতেও বেশি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের কর্মীদের আন্তরিকতা এবং কৃষকদের সদিচ্ছা ও সহযোগিতায় আমরা এ সাফল্য পেয়েছি। মোট কথা এবার রোপা আমনে বাম্পার ফলন হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত