নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:৫৯

কলেজ ছাত্রী খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হতে পারে আজ

সিলেটে কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হতে পারে আজ। আজ চাঞ্চল্যকর এই মামলার ১৯ সাক্ষীকে তলব করেছেন সিলেট মহানগর মূখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরু।

এরআগে গত ৫ ডিসেম্বর মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলার ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, আহত অবস্থায় খাদিজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কলেজ শিক্ষার্থী ইমরান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়েছেন।

এই আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান জানান, খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় মোট সাক্ষী ৩৭ জন। এদের মধ্যে ১৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। মামলার ২য় সাক্ষী খাদিজা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকী ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রোববার ধার্য করা আছে। এদিনই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হতে পারে।

৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছিলেন, আমরা বদরুলের অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছি। আশা করছি তার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাদিজার ওপর হামলার পর মামলা হওয়ার এক মাস পাঁচ দিনের মাথায় শাহপরান থানার উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশিদ গত ৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করেন। ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্রের শুনানি শেষে তা গৃহীত হয়। ২৯ নভেম্বর আলোচিত এই মামলায় বদরুল আলমকে (২৯) একমাত্র অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হন খাদিজা। প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর সেখান থেকে ৪ অক্টোবর তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এনে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়। স্কয়ার হাসপাতালে প্রথম দফায় খাদিজার মাথায় ও পরে হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। তার অবস্থার একটু উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। এরপর আইসিইউ থেকে এইসডিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ২৬ অক্টোবর তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। এরপর আবারো মাথায় ও হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর সম্প্রতি স্কয়ার থেকে সিআরপিতে নেওয়া হয় খাদিজাকে।

হামলার দিন ঘটনাস্থল থেকে বদরুল আলম আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। আদালতে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন বদরুল। বদরুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। পরে স্থায়ী বহিষ্কার করে। খাদিজার বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার হাউসা গ্রামে। তাঁর বাবা মাসুক মিয়া সৌদিপ্রবাসী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত