ওসমানীনগর প্রতিনিধি

০৬ জুন, ২০১৭ ০০:৪৬

ওসমানীনগরে কুশিয়ারা ডাইক ভেঙে ১৮ গ্রাম প্লাবিত

ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে ডাইক ভেঙে গেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ

সিলেটের ওসমানী নগরে কুশিয়ারা ডাইক ভেঙ্গে ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবার ভোরে উপজেলার সাদীপুর ইউপির লামা তাজপুর জব্বার মিয়ার বাড়ির পাশে ডাইকের প্রায় ৫০ ফুট এলাকা কুশিয়ারা নদীর পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে গিয়ে ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাদীপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ডের সুরিকোনা, ইসলামপুর, দক্ষিণ কালনী চর, উত্তর কালনীচর, পূর্ব কালনীচর, ২নং ওয়ার্ডের সুন্দিখলা, সম্মানপুর, মোকামপাড়া, রহমতপুর, চাতলপাড়, পূর্ব সুন্দিখলা, সম্মানপুর, ৭নং ওয়ার্ডেরসাদীপুর, সৈয়দপুর ও ৮নং ওয়ার্ডের লামাতাজপুর, চরাতাজপুর, পূর্ব তাজপুর, টুকরাগাঁও গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার অধিবাসী। এ দিকে গত শীত মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভূক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্টান আবুল হোসেন এন্টার প্রাইজনিয়ম থেকে ডাইকের সাড়ে তিন ফুট মাটি ভরাট না করে অনিয়মের কারণে কুশিয়ারা নদীর পানির চাপের কারণে ডাইক ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ করেন সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব ও এলাকাবাসী।

অনিয়মের বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, আমি বেশী দিন হয়নি এখানে যোগদান করেছি। সাদীপুর ইউপির চেয়ারম্যানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজের বিল দেয়া হবেনা বলে নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয়ও আমাকে বলেছেন।

এদিকে ওসমানী নগরের সাদীপুরে কুশিয়ারা ডাইক ভেঙে যাবার খবরে সোমবার দুপুরে ভাঙনস্থল পরিদর্শ করেছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, ওসমানী নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব।

সাদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবুল হোসেন এন্টারপ্রাইজের অনিয়মের কারণে ডাইক ভেঙে আমার ইউপির ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট অভিযোগ দিয়েছি যেন ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানকে বিল না দেয়ার জন্য।

ওসমানী নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মনিরুজ্জামান বলেন, ডাইকের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ আমরা প্লাবিত এলাকায় নজরদারী রাখছি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, ডাইকের ভাঙন এলাকা পরিদর্শণ করেছি। এখানে প্রায় এক কিলোমিটার ডাইক একেবারে নিচু তাৎক্ষনিকভাবে অন্য দিকে যাতে আর পানি না চুয়াতে পারে সেজন্য বেশ কিছু বস্তা আমরা স্থানীয় চোরম্যানকে দিয়েছি। তাকে বস্তায় বালি ভরাট করে দুই লেয়ারে ডাইকের ওপর সাজিয়ে রাখতে বলেছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত