সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

১১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:৫৬

শাল্লায় অজ্ঞাতরোগে হাঁসের মহামারি

চিকিৎসক শূন্য প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল

শাল্লা উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে হাঁসের মড়ক দেখা দিয়েছে। অজ্ঞাত রোগে মরছে হাজারো হাঁস।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউপি’র আনন্দপুর গ্রামে বকুল চন্দ্র দাস, ব্রজেশ চন্দ্র দাস ও কৃষ্ণকান্ত দাসের খামারে হাঁসের এ মড়ক রূপ নিয়েছে মহামারিতে। গত এপ্রিলের অকাল বন্যায় বোরো ফসল হারিয়ে এ উপজেলার কৃষকরা এমনিতেই অনেকটা দিশাহারা। এরমধ্যে মরার উপর খরার ঘাঁ পড়ছে হাঁস খামারিদের মাঝে।

ওই গ্রামের খামারি বকুল চন্দ্র দাস বলেন, আমি ২ হাজার হাঁসের বাচ্চা কিনেছিলাম। এরমধ্যে ঠিকেছে ১৫শ’। আর ১সপ্তাহ পরে হাঁসগুলো ডিম দিতো। কিন্তু গত ১সপ্তাহে আমার ১৩শ’ হাঁস মরে গেছে।

বকুল আরো জানান, হাঁসের খামারে তার ৫লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৩শ’ মণ বোরো ধানও তার পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখানেও তার ৩লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত বছরও ৮শ’ হাঁস এভাবেই অজ্ঞাত রোগে মারা গেছে তার।

হাঁসের আরেক খামারি ব্রজেশ চন্দ্র দাসও একই কথা বলেন। তিনি জানান, তারও ১৪শ’ হাঁসের মধ্যে গত ১সপ্তাহে অর্ধেক মরেছে। বাকিগুলোও মরার পথে। তারও ৩লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

আরেক খামারি কৃষ্ণকান্ত দাস বলেন, তার ৬শ’ হাঁসের মধ্যে অজ্ঞাতরোগ দেখা দিয়েছে।

তারা বলেন, হাঁসগুলো ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে চোখের সামনে মরে যাচ্ছে। প্রতিদিন শত শত হাঁস মরছে। ডিঙ্গি নৌকা বোঝাই করে মরা হাঁসগুলো হাওরে ভাসিয়ে দিতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গিয়েও কোনো ডাক্তার পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ তাদের।


বুধবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গিয়ে কোনো চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। পরে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের সার্জন ডা. সোমেন চাকমার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি।

তিনি আরো বলেন, এ হাসপাতালে ১০জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও, বর্তমানে আমি শুধু একাই আছি। এখন হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক নেই। আমার আসতে আরো সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।  
 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত