০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১১:৩১
সীমাবদ্ধতা নিয়েও মায়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাকি বিশ্ববাসীকেও তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
সকাল ৮টায় সিলেটের ঐতিহাসিক শাহী ইদগাহ ময়দানে ঈদ জামাতের সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেট-১ আসনের এই সাংসদ। যার বড় অংশ জুড়েই ছিলো সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা নির্যাতন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ, তবুও ঘরবাড়ি ছেড়ে আসা রোহিঙ্গাদের যথাসম্ভব সাহায্য করছি আমরা। একটি দেশ এভাবে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালাবে আর বিশ্ববাসী তা শুধু দেখবে এমনটা হতে পারে না।’
মুহিত আরো বলেন, বাংলাদেশের জেলাপিছু জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতিবেশী দেশের তুলনায় দ্বিগুন। তবুও আমরা তাদের আশ্রয় দিচ্ছি। নিপীড়িত, অত্যাচারিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো অন্যান্য দেশের কর্তব্য।
এই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শরণার্রথীদের ভারতে আশ্রয় গ্রহনের কথা স্মরণ করেন।
গেল ২৪ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে একসঙ্গে সেখানকার ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হামলা করলে শুরু হয় সহিংসতা। মায়ানমারের সেনাবাহিনী পালটা হামলা চালাতে শুরু করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর। এতে করে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকে। বিভিন্ন সূত্র পাওয়া যায় অনেক নিহতের খবর।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) এর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে কেবল গত এক সপ্তাহেই অন্তত ১৮ হাজার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিবিসি জানিয়েছেন রোহিঙ্গা মুসলিম ছাড়াও এরমধ্যে অন্তত ৫০০ হিন্দু রয়েছে। তবে কক্সবাজার ও টেকনাফের স্থানীয় মানুষরা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার নয় তারচেয়ে দ্বিগুণ বেশি রোহিঙ্গা এরমধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আপনার মন্তব্য