নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৯:১৪

নির্ধারিত স্থান ফাঁকা, যত্রতত্র কোরবানি

পরিবেশ দূষণ রোধ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ করতে ঈদে পশু কোরবানির জন্য নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলো সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। তবে শনিবার ঈদের দিন নগরী ঘুরে দেখা গেছে সিসিক নির্ধারিত স্থানগুলো একেবারেই ফাঁকা। অপরদিকে, রাস্তাঘাট, গলি, বাড়ির গ্যারেজ, কিংবা বাড়ির সামনের খোলা জায়গায় কোরবানি দেওয়া হয়েছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, স্থান নির্ধারণের ব্যাপারে প্রচার প্রচারণা না থাকা ও নির্ধারিত স্থানে সুযোগ সুবিধার অভাবেই এসব স্থানের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি বেশিরভাগ নাগরিক।

তবে সিসিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্ধারিত স্থানে কোরবানিতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে তা আরও বাড়বে।

নগরীর কাজী ইলিয়াস এলাকায় বাসার সামনের গলির রাস্তায় কোরবানি দিচ্ছিলেন আব্দুল ওয়াহিদ। নির্ধারিত স্থানে কোরবানি না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই স্থান বাসা থেকে অনেক দূরে। সেখানে কোরবানি দিয়ে মাংস নিয়ে আসারও কোনো সুবিধা নেই। ফলে বাসার সামনেই কোরবানি দিয়েছি। কোরবানির পর আমরা নিজেরাই আবর্জনা পরিষ্কার করে দিয়েছি।

শনিবার সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। বাসার সামনেই পশু কোরবানি দিচ্ছেন অনেকে। আবার নগরীর বেশীরভাগই ওয়ার্ডেই নির্ধারিত স্থানে একটিও কোরবানি দেওয়া হয়নি।।

নগরীর ৬ নং ওয়ার্ডের এর কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামিম বলেন, আমার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর অফিসের সামনের খালি জায়গা পশু কোরবানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিলো। তবে আজ এখানে কেউ কোরবানি দেয়নি। সবাই নিজের বাসার সামনেই কোরবানি দিয়েছেন।

নগরীর ২০নং ওয়ার্ডে কোরবানির নির্ধারিত স্থান ছিল সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ। সেখানেও কেউ কোরবানি দিতে আসেনি বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।

আজাদ বলেন- সিসিক নির্ধারিত স্থানে কোরবানির সুযোগ সুবিধা ছিলো না। ফলে এখানে কোরবানি দিতে কেউ আগ্রহ দেখাননি।

এ ব্যপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব বলেন- গত বছর সিলেট সিটি করপোরেশন ১২টি ওয়ার্ডে কোরবানির স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল, এবার ২৭টি ওয়ার্ডেই স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তাই গতবারেরর চেয়ে এবার নির্ধারিত স্থানে কোরবানির সংখ্যা বেড়েছে।

তিনি বলেন, নগরীর সকলকে একসাথে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেওয়ার জন্য আনা যাবে না। এটি সময়ের ব্যপার। আশা করি আগামী বছরগুলোতে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির সংখ্যা আরো বাড়বে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত