মাধবপুর প্রতিনিধি

২৩ নভেম্বর, ২০১৭ ০১:১০

মাধবপুরে এসএসসি’র ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ২০১৮ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাবোর্ডের নির্ধারিত তালিকার বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিটি বিদ্যালয়ে সিলেট শিক্ষা বোর্ড মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে ফরম পূরণের টাকা নেওয়ার লিখিত নির্দেশ দেওয়ার পরও মাধবপুর উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয় বোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে দ্বিগুনের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করেছে। বোর্ড নির্ধারিত ফরম পূরণের হার হচ্ছে প্রতি বিষয়ে ৭০ টাকা, ব্যবহারিক চার বিষয়ে ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ৪০ টাকা, সনদ ফি ১০০ টাকা, অন্যান্য-৯০ টাকা, সর্বমোট ১ হাজার ৫ শ টাকা নেওয়ার কথা নির্দেশ থাকলেও নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৫ শ থেকে ৩ হাজার টাকার উপরে।

অভিভাবকরা জানান, ফরম পূরণের তারিখ ১৮ নভেম্বর হলেও অভিভাবকদের বলা হয় ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ তারিখ। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থী অভিভাবকরা ধার দেনা করে ফরম পূরন করেছে। অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া হলেও কোন রশিদ দেওয়া হয়নি। আদাঐর লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, শাহজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সাউথ কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়, তালিবপুর আহছানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়,মনতলা উচ্চ বিদ্যালয়, ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ উচ্চ বিদ্যালয়,আন্দিউড়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ উপজেলার ২২টি হাই স্কুল ,৭টি স্কুল এন্ড কলেজ এবং ৫টি মাদ্রাসায় কোচিং এর নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে।

নিয়মানুযায়ী কোচিং করা ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্যতামূলক নয়। কোন পরিক্ষার্থী কোচিং করতে রাজি হলে সে স্বেচ্ছায় আবেদন করার কথা। অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত সুয়োমুটো রুল জারি করে।

এ কারণে অনেক বিদ্যালয় অতিরিক্ত অর্থ বাধ্য হয়ে ফেরত দেয়। এ বছরও উচ্চ আদালতের আদেশটি প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ও ওয়েব সাইটে দেওয়ার পরও এ নির্দেশ কেউ মানেনি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান বোর্ড নির্ধারিত হারেই ফরম পূরণের টাকা নেয়া হয়েছে। যারা কোচিং করতে আগ্রহী তাদের কাছ থেকে কোচিং বাবদ ফি নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,হাই কোর্টের রিটের কথা শুনছি তবে কোন চিঠি পাইনি। প্রত্যেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়ে নির্ধারিত হারে ফরম পূরণের ফি নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ মুকলেছুর রহমান বলেন,এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পায়নি।  কেউ যদি অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে থাকে এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত