হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

০৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ২১:০০

সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার ৪ মামলা হাই কোর্টে স্থগিত

হবিগঞ্জের সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা ৪টি মামলার স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ টি এম সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

কলিকাতার বহুল প্রচারিত দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ২০১৬ সনের ১২ নভেম্বর দৈনিক প্রভাকরে ‘হবিগঞ্জসহ অযোগ্য ৬৫ সাংসদকে বাদ দেবেন শেখ হাসিনা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। একই সাথে প্রচার হয় ওই পত্রিকার অনলাইন ও ফেসবুক সংস্করণেও।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর হবিগঞ্জ থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ সেবুল আহম্মেদ বাদী হয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দৈনিক প্রভাকর পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

একই দিন একই ধারায় বানিয়াচং থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ মজিদ খানের ব্যক্তিগত সহকারি মো. সেলিম উদ্দিন।

এ সংক্রান্ত দুটি মামলার বাদীর পক্ষে আবেদন শুনানি শেষে বিচারপতিদ্বয় উপরোক্ত দুটি মামলার স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।

অপরদিকে ফেসবুকে 'খোয়াই নগরী' নামে একটি ফেক আইডিতে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক হারুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান নিয়ন ও খোয়াই নগরীর এডমিনকে বিবাদী করে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন হবিগঞ্জ থানায় ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর। ওই বছরে ২৫ নভেম্বর একই ধারায় নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ওহি দেওয়ান চৌধুরী।

মামলার বিবাদী শোয়েব চৌধুরী হাই কোর্টে আবেদন জানালে ১৯ সেপ্টেম্বর ওই দুটি মামলারও স্থগিতাদেশ একই বেঞ্চ। সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরীর পক্ষে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট বেলায়েত হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর পুলিশের একটি অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহকালে শোয়েব চৌধুরীকে পুলিশ শহরে শিল্পকলা একাডেমি ভবন থেকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ সদর পুলিশ। দুটি মামলায় পুলিশ ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবেদন নামঞ্জুর করেন ৮৪ দিন কারাভোগের পর ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান। ইতোমধ্যে ৪টি মামলারই চার্জশিট দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে হারুনুর রশীদের দায়ের করা মামলায় নারাজি আবেদন করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত