নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ মার্চ, ২০১৮ ১৫:০০

‘নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে পুরনো ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে’

মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে আরো আধুনিক করতে হবে। প্রশিক্ষিত লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। পুরনো ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেন্দ্রগুলোতে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। তাই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ও পরিচালকদের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আনতে হবে। একজন রোগীর ক্ষেত্রে আরো যত্নশীল হতে হবে। বিশেষ করে প্রকৃত অভিভাবকছাড়া কোন মাদকসেবীকে যেন নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র মালিকদের নিয়ে সংগঠন নেটওয়ার্ক অব এডিকশন রি-হ্যাবিলাইটেশন সেন্টার অব সিলেটের (নারকস) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথাগুলো বলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) পরিচালক মো. মফিদুল ইসলাম।

শনিবার রাতে (২৪ মার্চ) নগরীর মির্জাজাঙ্গালের একটি হোটেলে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নারকস সভাপতি সৈয়দ খিজির হোসেন এ্যনুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম তুহিনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদ হোসেন মোল্লা।

এর আগে ঢাকা থেকে সিলেট এসে দুপুর থেকেই সিলেটে বিভিন্ন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) পরিচালক মো. মফিদুল ইসলাম। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের মান বাড়াতে আরো উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন মালিকদের। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।

সভায় নারকস প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি কামাল আহমদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ আহমদ বাবু, কোষাধ্যক্ষ মো. নুরুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক মাশরুর আলম, মঞ্জুর আহমদ, মিহির দেব, আনসার উদ্দিন হীরা, আলম চৌধুরী প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত