দেবব্রত চৌধুরী লিটন

১৩ জুলাই, ২০১৮ ১৭:৪১

সিলেটে নির্বাচনী প্রচারণায় মোবাইল স্টুডিও

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে নির্বাচনী প্রচারণাকে আরো গ্রহণযোগ্য ও প্রাণবন্ত করে তোলা সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভোটারদের  মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন সকল প্রার্থীই।

আর প্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। এই নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করতে সিলেটে মাঠে নেমেছে একটি মোবাইল স্টুডিও।

ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নিজের নির্বাচনী ইশতেহারসহ প্রতিশ্রুতি ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে অনেক প্রার্থীই এই মোবাইল স্টুডিওটির উপর ভরসা করছেন। প্রচারণায় নতুন প্রযুক্তিকে কাছে লাগিয়ে আগামী ৩০জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে জয়ের আশা করছেন অনেকেই।          

উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি জানিয়ে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর অডিও রেকর্ডিং সম্বলিত প্রচারণা চলাকালে দেখা মিললও মোবাইল স্টুডিও সৌখিন এড মিডিয়ার।

মোবাইল স্টুডিও সৌখিন এড মিডিয়ার কর্ণধার প্রিন্স রবিন সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে জানান, যুগোপযোগী ডিজিটাল নির্বাচনী প্রচারনায় অত্যাধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার করে মাইকিং প্রচারণায় প্রার্থীর কথাগুলো আবেগ অনুভূতির মিশেলে সুর চন্দে শ্রুতি মধুর করে আমরা উপস্থাপণের ব্যবস্থা করে দেই।

তিনি আরো জানান, নারী ও পুরুষের দ্বৈতকণ্ঠে দেশের জনপ্রিয় গানের সুরের মিশেলে প্রার্থীর নাম ও প্রতীকের উপর ভিত্তি করে এই নির্বাচনী প্রচারণা গুলো তৈরি করা হয়। গতানুগতিক প্রচারণার বাইরে ডিজিটাল প্রযুক্তির এই প্রচারণায় মান ও শিল্পী ভেদে একজন প্রার্থীর ৩হাজার টাকা থেকে ৩০হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পরতে পারে বলে জানান তিনি।     

সামান্য সময়ের মধ্যে অডিও রেকর্ডিং সম্বলিত এ ধরনের প্রচারণা ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণে ভাল ভূমিকা রাখবে বলে জানান সিসিক নির্বাচনে নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সাঈদী আহমদ।    

সিসিক নির্বাচনে প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত মাইকিং দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা আছেন নির্বাচন কমিশনের। শব্দ দূষণ ঠেকাতে একজন প্রার্থী একটি ওয়ার্ডে একাধিক মাইকের ব্যবহার করতে পারবেন না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত