সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ আগস্ট, ২০১৮ ২১:০৯

সিলেট মহানগর বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সিলেট মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত করেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি দেশে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করে এর মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার শুরু হয়। তাই বিএনপি হচ্ছে দেশের একমাত্র গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী বাকশালীরা গণতন্ত্রকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। তারা স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা করে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে।

বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

বিএনপি নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জাতীয়তাবাদকে বুকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কোটি জনতার হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপোষহীন থাকায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বেগম জিয়া ও বিএনপিকে বাইরে রেখে দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে সকল দলের অংশ গ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেকের পরিচালনায় নগরীর দরগাগেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সুলেমান হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন- আওয়ামী দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জাতি জালিম শাসকদের কাছ থেকে মুক্তির পথ খুলছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। বিএনপি হচ্ছে গনতন্ত্রকামী ও দেশ প্রেমিক জনতার প্রধান আশ্রয়স্থল। সুতরাং বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের পরিণতি ভাল হবেনা। তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে, বিএনপিকে বাদ দিয়ে দেশে কোন জাতীয় নির্বাচনের স্বপ্ন জাতি পূরণ হতে দেবে না। সময় থাকতে অবৈধ আওয়ামী সরকারকে সতর্ক হতে হবে। অবিলম্বে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় তারা পালানোর পথও খুঁজে পাবেনা।

সভাপতির বক্তব্যে নাসিম হোসাইন বলেন- অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার জনরায়কে ভয় পায় বলেই তারা বিএনপি ও নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের নতুন ষড়যন্ত্রের নাম ইভিএম ভোট। যেদেশে একটি ইউনিয়ন নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়না, সেখানে ইভিএম ভোটের নামে ভোট চুরির নতুন কৌশল জাতি মেনে নিবেনা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রথমইে প্রয়োজন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের অধীনে দেশে কোন সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করা কঠিন। বিগত সিটি নির্বাচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য নগর বিএনপির সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছাত্রদল নেতা রাজু হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
 
নগর বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আশরাফ আলীর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-মহানগর সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, জিয়াউল গনি আরেফিন জিল্লুর, মুফতি বদরুন নুর সায়েক, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ আহমদ মুকুল, মাহবুব চৌধুরী, দফতর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, প্রকাশনা সম্পাদক জাকির মজুমদার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ মিয়া, বিএনপি নেতা লল্লিক আহমদ চৌধুরী, মহিলাদল নেত্রী নিগার সুলতানা ডেইজী, বিএনপি নেতা মামুনুর রহমান মামুন, শেখ মু. ইলিয়াস আলী, মোতাহির আলী মাখন, মুফতী রায়হান উদ্দিন মুন্না, আক্তার রশীদ চৌধুরী, জিয়াউর রহমান দিপন, আমিনুর রশীদ খোকন, সরফরাজ আহমদ চৌধুরী, মঈনুল হক স্বাধীন, আলতাবুর রহমান বকুল, মহানগর যুবদল নেতা নেওয়াজ বখত চৌধুরী তারেক ও সাহিবুর রহমান সুজান, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন ও মহানগর সভাপতি সুদীপ জ্যেতি এষ প্রমুখ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর উপদেষ্টা সৈয়দ বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম হাদী, মহানগর মহিলা দল সভাপতি জাহানারা ইয়াসমিন গোলাপী, মহানগর বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক মির্জা বেলায়েত আহমদ লিটন, আপ্যায়ন সম্পাদক আফজাল উদ্দিন, মানবাধিকার সম্পাদক মুফতী নেহাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম, দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, মহিলা দল নেত্রী ফাতেমা জামান রোজী, রেহানা ফারুক শিরিন, কহিনুর ইয়াসমিন ঝর্না, বিএনপি নেতা ডা. আব্দুল হক, শেখ মঈনুদ্দিন, শরীফ উদ্দিন মেহেদী, আব্দুস সাত্তার আমীন, মফিজুর রহমান জুবেদ, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, মাসুক আহমদ, আব্দুস সবুর, এম. মখলিছ খান, শেখ কবির আহমদ, শাহেদ আহমদ চমন, আব্দুস সামাদ তুহেল, মাহফুজ রানা হাওলাদার, দেলোয়ার হোসেন রানা, রিহাদুল হাসান রুহেল, মাহবুব আহমদ চৌধুরী, মহানগর শ্রমিক দল সভাপতি আলকাছ মিয়া, বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ সফি শাহেদ, মহানগর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ইসলাম, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুতাক্কির চৌধুরী সাকী, মহিলা দল নেত্রী রাহেলা জেরিন, ফাত্তাহ বেগম, শিখা হাওলাদার, ফরিদা বেগম চৌধুরী প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত