সিলেটের গোলাপগঞ্জে জামিল আহমদ (২২) নামের এক লন্ডন প্রবাসীর ছুরিকাঘাতে ১জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ রোডের পাঁচমাইল নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত জামিল আহমদকে আটক করেছে সিলেট র‌্যাব-৯। সে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের মধ্য কানিশাইল গ্রামের লন্ডন প্রবাসী সোলেমান আলীর পুত্র। আহত ব্যক্তির নাম আলমগীর আলম (২৮)। তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার কোনাশালেশ্বর গ্রামের মৃত আজাদ মিয়ার পুত্র। বর্তমানে তিনি গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার রণকেলী উত্তরের একটি বাসাতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন।

এ হামলার ঘটনায় আলমগীর আলমের মাতা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলায় দায়ের করেন। মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত আলমগীর আলম ঘটনার সাথে জড়িত প্রবাসী জামিল আহমদের পিতার নিকট লন্ডনের যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা লেনদেন করেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন বিকেলে জামিলের মাতা সাহিদা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে জামিল আহমদ সহ অজ্ঞাত আরো ৩জন ব্যক্তি আলমগীর আলমকে সাথে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এসময় গাড়িতে জামিল আহমদ পরিকল্পনা অনুযায়ী আলমগীর আলমের কথা কাটাকাটি শুরু করেন। এক পর্যায়ে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের পাঁচমাইল নামক স্থানে যাওয়া মাত্র জামিল আহমদ তার সাথে থাকা অজ্ঞাত আরো ৩ ব্যক্তির সহযোগীতায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আলমগীর আলমের দু পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যোপুরী আঘাত করে।

তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা আলমগীরের চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এসময় এ ঘটনার সাথে জড়িত জামিল আহমদকে এলাকাবাসী আটক করে সিলেট র‌্যাব-৯ এর হাতে তুলে দিলে র‌্যাব গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় তাকে রাতে হস্তান্তর করে। পরে আলমগীর আলমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে আলমগীরের মা বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অভিযুক্ত জামিল আহমদকে প্রধান ও অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা ( মামলা নং -৫/৫-১০-১৮ ) দায়ের করেন।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত আসামী জামিলকে শুক্রবার কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।