শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ১৮:২৯

শ্রীমঙ্গলে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস পালন

'নারীর স্বাধীন চলাফেরায় চাই নিরাপত্তা' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস।

রোববার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে দিবসটি উপলক্ষে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্মে নারীদের সংগঠন ‘নারীপক্ষ’ এর আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নারীপক্ষ সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি প্রভা রানী বাড়াইক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারীবান্ধব হাসপাতাল কর্মসূচির হাসপাতাল পর্যবেক্ষক আফরোজা বারী লিনা, চা-শ্রমিক নারীনেত্রী সন্ধ্যা রবিদাস, প্রতিমা নায়েক, তাসনুভা তাহমিদ আনিকা, আইডিয়া’র (ইনিস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এফেয়ার্স) প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক পংকজ ঘোষ দস্তিদার, ম্যাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এ হামিদ প্রমুখ।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নারী নির্যাতন বা নারীর প্রতি সহিংসতা এখন কেবল অনুন্নত দেশগুলোতেই নয়, সারাবিশ্বেই একটি আলোচিত সমস্যা। বহু শতাব্দী ধরে নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ হিসেবে দেখার পরিণতি এই নারী নির্যাতন। তাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দেশে দেশে, সমাজে সমাজে নারীকে বহন করতে হচ্ছে নিপীড়ন, নির্যাতন ও মৃত্যু যন্ত্রণার চিহ্ন। সেই সঙ্গে কেবল মেয়ে হওয়ার কারণেই পরিবার ও সমাজে বিভিন্ন রকম বৈষম্য, বঞ্চনা ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে অসংখ্য শিশু।

তারা আরও বলেন, বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ আজ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে। সোচ্চার হয়ে উঠছে সবাই। বস্তুত আমাদের সবারই উচিত নারী নির্যাতন নিয়ে কথা বলা। অন্যদের কথা বলতে উৎসাহিত করা। কেননা আমরা যদি নারী নির্যাতনমুক্ত সুস্থ সমাজ চাই, তবে মনে রাখতে হবে, নিজে নির্যাতন করা থেকে বিরত থাকাটাই যথেষ্ট নয়। বরং আপনার আশেপাশে ঘটে যাওয়া যে কোনো নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে সম্মিলিতভাবে। কারণ, নারী নির্যাতনকে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বেশি দায়ী আমাদের নীরবতা।

বক্তারা বলেন, নারীরা আজ প্রমাণ করেছে তাদের মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা। এরপরও নারীরা স্বাধীন জীবন পাচ্ছে না। বারবার শরীর ও জীবনের উপর আঘাত আসছে। এই আঘাত ও আঘাতের হুমকি সংকোচিত করে দিচ্ছে নারীর চলাচলকে, জীবনের ব্যাপ্তিকে। নারীর জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ সমাজ তৈরিতে নারী-পুরুষ সংঘবদ্ধভাবে এক সুরে চিৎকার করবো, আওয়াজ তুলবো, রুখে দাঁড়াবো। এই অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত