হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

০৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ২৩:২৬

কলেজ ছাত্রী তন্নী হত্যা মামলার রায় ৭ জানুয়ারি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কলেজ ছাত্রী তন্নী রায় হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায়ের দিন আগামী ৭ই জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার (২ জানুয়ারি) বিশেষ বিচার ট্রাইব্যুনাল(২) সিলেটের বিচারক মো. রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।

গত ১ ও ২ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক ৭ই জানুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন। এর আগে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করেন আদালত।

এদিকে তন্নীর হত্যাকারী রানুর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান নিহত কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়ের পিতা ও মামলার বাদী বিমল রায়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা দেড় টার দিকে তন্নী রায় নবীগঞ্জ শহরতলীর বাংলা টাউনে ইউকে আই সিটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেড় হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেনি। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন তন্নী রায় এর বাবা। সাধারণ ডায়েরী করার ৩ দিনের মাথায় কলেজ ছাত্রী তন্নী রায়ের বস্তাবন্দী লাশ নদী থেকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।

তন্নীর লাশ উদ্ধার এবং মামলা দায়েরের পর থেকেই পুলিশ ঘটনাস্থল এবং তন্নী তথাকথিত প্রেমিক রানু রায়ের বাড়িসহ আশপাশের সম্ভাব্য ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালায়।  নবীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে মামলার অগ্রগতি না আসলে মামলাটি হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের কাছে প্রেরণ করা হয়। এদিকে তন্নী হত্যা মামলার প্রধান আসামী রানু রায়কে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে একের পর এক মানববন্ধন করে আসছিল বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন।

এরই জের ধরে তন্নী রায় হত্যার ২০ দিনের মাথায় (৭ অক্টোবর'১৬) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের ওসি মো. আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

পরে (৮ অক্টোবর'১৬) শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে ঘাতক রানু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে এবং তন্নীকে হত্যার কথা স্বীকার করে।

হত্যার কারণ হিসেবে রানু রায় স্বীকারোক্তিতে বলে তন্নীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে রানু রায়ের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল, ১৭ সেপ্টেম্বর'১৬ শনিবার প্রেমিক রানু রায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তন্নী ইউকে আই সিটি কোচিং সেন্টারে যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়ে, রানু রায়ের বাড়িতে যায়, যাওয়ার পর তন্নীর সাথে একাধিক ছেলের সম্পর্ক আছে এই বিষয়ে রানু তন্নীকে ওই সব ছেলেদের সাথে কথা বলা বন্ধ করার জন্য বলে। এক পর্যায়ে রানুর সাথে তন্নীর ঝগড়া সৃষ্টি হয় এসময় রানু রায় তন্নীকে হাত দিয়ে আঘাত করে। এরপর তন্নীর গলায় রানু চেপে ধরলে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে তন্নী মারা যায়।

পরে  ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে তন্নী হত্যা মামলায় রানু রায়কে একক আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত