শাবি প্রতিনিধি

০৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:৪৮

জাতীয় নারী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন শাবিপ্রবির ‘এসইউডিএস-৭১’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক বিষয়ক সংগঠন ‘শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত ‘এমজেএফ-এসইউডিএস জাতীয় নারী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাবিপ্রবির দল ‘এসইউডিএস-৭১।

শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ফাইনাল বিতর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্বকারী দল সিইউএসডি কে ৩-২ ব্যালটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জণ করে এসইউডিএস-৭১। বিজয়ী দল এসইউডিএস-৭১ এর সদস্যরা হলেন রাইতাহ বিনতে আহসান, নূর ই জান্নাত নিতু এবং রাহনুমা নূরাইয়া মুমু।

আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘ঘরে বাইরে সহিংসতা: প্রতিবাদের ঝড় উঠুক নারীর কন্ঠে, আর নয় নীরবতা’ এ স্লোগান নিয়ে ২য় বারের মতো এসইউডিএস জাতীয় নারী বিতর্কের আয়োজন করে। এবছর এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বমোট ১৬ টি নারী দল অংশগ্রহণ করে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন রাউন্ডে জয়লাভ করে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় শাবিপ্রবির দল এসইউডিএস-৭১ এবং চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দল সিইউএসডি।

‘নারী মুক্তি আন্দোলন সমূহই পারে তৃণমূলের নারীদের প্রকৃত মুক্তি দিতে’ এই প্রস্তাবের পক্ষে চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর বিপক্ষে অবস্থান নেন শাবিপ্রবির বিতার্কিকরা।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল গণি। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্সইউডিএস’র মডারেটর অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আ.ক.ম মাহবুবুজ্জামান, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক হিমাদ্রী শেখর রায়, এডভোকেট সৈয়দা শিরিন আক্তার সরকার ও দৈনিক যুগান্তরের সিলেট ব্যুরো প্রধান সংগ্রাম সিংহ।

ফাইনাল বিতর্ক শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন অথিতিরা। এবছর জাতীয় নারী বিতর্ক প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছেন এসইউডিএস-৭১ এর দলনেতা রাইতাহ বিনতে আহসান। এছাড়া ফাইনাল বিতর্কের সেরা বিতার্কিক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী দলের উপনেতা নূর ই জান্নাত নিতু।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিতর্ক মানুষকে যুক্তিবাদী হতে শেখায়। নারীদের অধিকার রক্ষার্থে বিতর্ক অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে। নারীরা যদি তাদের অধিকারের ব্যাপারে আরো সচেতন হয় এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে তাহলে একসময় নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা নিশ্চিত হবে। নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা নিশ্চিত না হলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত