নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:২৭

ফুটপাতেও লেগেছে বৈশাখের হাওয়া

এমনিতে নগরীর ফুটপাত ছাপিয়ে নগরীর সড়কগুলোও দখলে রাখেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। তবে শুক্রবারে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। বন্ধের দিন হওয়ায় ওইদিন ফুটপাতে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন না হকাররা। তবে এই শুক্রবারে (১২ এপ্রিল) নগরের ফুটপাতগুলো ছিল হকারদের দখলে। ছিলো বেচাকেনার ধুম। পহেলা বৈশাখকে উপলক্ষ করেই বন্ধের দিনেও ফুটপাতের এই চিত্র।

বাংলা নতুন বছরের আর একদিন বাকি। তাই শুক্রবার বন্ধের দিনে নগরের বেশ কয়েকটি মার্কেট খোলা রাখা হয়েছে। তাদের সাথে তাল মিলিয়ে ফুটপাতের হকাররাও দোকান খুলে বসেন। ক্রেতারাও সাধ্যমত কেনাকাটা করছেন।

জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার এলাকারা প্রতিটি ফুটপাতের দোকানে শোভা পাচ্ছে বৈশাখের বাহারি পোশাক। ‘এসো হে বৈশাখ’ স্লোগান লিখা, ঢোল, তবলা, ঘুড়ি, একতারা, ইলিশ আঁকা রং বেরংয়ের পোশাক। বড়দের চেয়ে ছোটদের পোশাকের সমাহার বেশি এসব দোকানে। বিভিন্ন দামে পাওয়া যায় ছোটদের টি-শার্ট, ফতুয়া, ফ্রক, ধুতি-পাঞ্জাবি সেট, ছোট বৈশাখী শাড়ি।

শেষ মূহুর্তে এসব দোকানে বৈশাখের পোশাক কিনতে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতারা ভিড় করছেন। আম্বরখানা বস্তির রোকেয়া বেগম তার ২ বছরের ছেলেকে নিয়ে এসেছেন বৈশাখের ফতুয়া কিনে দিতে। তিনি বলেন, বৈশাখ এখন ঈদের মতো। কাপড় কিনাই লাগে। আশপাশের সবাই কিনে তাই বাচ্চাদের আনন্দের জন্য কাপড় কিনছি।

৫ বছর বয়সের রুমন তার বাবার সাথে এসেছে বৈশাখের টি-শার্ট কিনতে। রুমনের বাবা আব্দুল হাই বলেন, আমি ভাড়ায় রিকশা চালাই। দিন আনি দিন খাই। এইসব তো আর ছেলে বুঝে না। গত বছর আমি রিকশা নিয়া ব্যস্ত ছিলাম তাই রুমনের গেঞ্জি কিনে দিতে পারি নাই। তাই এবার একটু আগেই নিয়া আছি।

বন্দরবাজারের হকার রায়হান বলেন, পহেলা বৈশাখের একদিন বাকি তাই আজ বন্ধের দিনও দোকান খুলছি। কাস্টমারও কম হইলেও বিকিকিনি ভাল হইতাছে।

জিন্দাবাজার এলাকার হকার দেলোয়ার মিয়া বলেন, কম টাকা বৈশাখের গেঞ্জি, ফতুয়া, ফ্রক আছে আমার কাছে। বৈশাখের জন্য আলাদা পুঁজি খাটাইছি ব্যবসায়। আবার বৈশাখের কাপড় পরে কেউ কিনে না। বিক্রি ভাল না হইলে লোকসান হইবো। তাই বন্ধের দিনও দোকান নিয়া বইছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত