সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ জুন, ২০১৯ ১৮:২১

অর্থবিল সংশোধনের দাবিতে সিলেটে খামারিদের মানববন্ধন

২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পোল্ট্রি ফিডে ব্যবহৃত কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরা। কারণ প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হলে পোল্ট্রি ফিডের দাম আরেক দফা বাড়বে। যা তাদেরকে পুঁজির সংকটে ফেলবে। তাই পোল্ট্রি খামারিদের সুরক্ষায় পোল্ট্রি খাতের উপর আরোপিত সকল কর ও শুল্ক বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিলেটের পোল্ট্রি খামারিরা।
 
শনিবার (২৯ জুন) সিলেট কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধনে খামারিরা বলেন, পোল্ট্রি বৃহত্তর কৃষির অংশ কিন্তু কৃষির মতো কোন সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন না। বর্তমান অর্থমন্ত্রী পোল্ট্রি বীমার ঘোষনা দিয়েছেন কিন্তু বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা যায় নি। সরকারের প্রতি পোাল্ট্রি খামারিদের দাবি পোল্ট্রি ফিডের দাম কমাতে হবে, খামারিদের বাঁচাতে হবে।

মানববন্ধনে ‘কম দামে ফিড চাই’ ‘ডিম ও মুরগির ন্যায্য দাম চাই’ ‘পোল্ট্রি বান্ধব বাজেট চাই' প্রভৃতি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র খামারিরা।

মানববন্ধনে খামারিরা বলেন, জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর থেকেই সংবাদপত্র ও টিভিতে পোল্ট্রি খাদ্যের দাম কমবে বলে খবর প্রচারিত হয়। এতে খামারিদের মাঝে নতুন করে আশা জাগে। কারণ বিগত কয়েক বছর থেকে তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু খামারিদের মাঝে হতাশা নেমে আসে, যখন তারা দেখেন যে, বাজেটে পোল্ট্রি কাঁচামালের উপর আমদানি শুল্ক ও কর কমানো তো হয়নি বরং নতুন কিছু সিদ্ধান্ত যোগ করা হয়েছে যা পোল্ট্রি ফিডের দাম বাড়িয়ে দেবে।

খামারিরা আরো বলেন, অর্থ বিল ২০১৯ এর ৭১নং অনুচ্ছেদে ২০১২ সনের ৪৭নং আইনের ধারা ৩১ এর সংশোধন করে সকল আমদানির উপর ৫শতাংশ হারে আগাম কর (এটি) ধার্য করা হয়েছে এবং সেই সাথে কাঁচা মাল সংগ্রহের উপর উৎস আয় কর কর্তনের বিধান পুনঃসংযোজন করা হযেছে। যার কারণে পোল্ট্রি ফিডের উৎপাদন খরচ ৮ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে দাবি করেছে হাঁসমুরগির খাবার প্রস্তুতকারকদের সংগঠন ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (ফিআব)। গত ১৯ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফিআব ও ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিরা বলেছেন, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে তাঁরা আপামর মানুষের জন্য অত্যন্ত স্বল্পমূলে ডিম ও মুরগির মাংসের যোগান দিয়ে আসছে। বাজারে যখন প্রতি কেজি খাসির মাংসের দাম ৮৫০ টাকা, গরুর মাংসের দাম ৫২০ টাকা, তখন খামার পর্যায়ে তাঁদের মাত্র ৮৮-৯০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। লাভ করা দূরে থাক শ্রমের মূল্য তাঁরা পাচ্ছেন না। এমতাবস্তায় ফিডের দাম বাড়লে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন তাঁরা।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট পোল্ট্রি খামার ডিলার এসোসিয়েশনের সভাপতি হুসেন আহমদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক সভাপতি আলী হোসেন, নূর মিয়া, শামীম আহমদ, দিলোওয়ার হোসেন, আজম আহমদ, ইমরান হোসেন, তুহিন আহমদসহ সিলেটের ক্ষুদ্র পোল্ট্রি ও মৎস্য খামারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত