০১ জুলাই, ২০১৯ ০০:৫৭
কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনে দুর্ঘটনায় কবলিত উপবনের বগী উদ্ধার কাজের জন্য সিলেটের সাথে ঢাকা ও চট্রগ্রামের সবগুলো ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। যার ফলে বিভিন্ন স্টেশনে ১০ থেকে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত ট্রেন বসিয়ে রাখা হচ্ছে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
জানা যায়, চট্টগ্রাম অভিমুখী ১৪ নং জালালাবাদ ট্রেন শনিবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেই ট্রেন ছেড়েছে রোববার দুপুর ২ টায়। তারপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেই ট্রেন মাইজগাও পৌঁছলে সেখানে থামিয়ে রাখা হয়।
অপরদিকে ঢাকা অভিমুখি ১০ নং সুরমা মেইল সিলেট থেকে ছাড়ার কথা শনিবার সন্ধ্যা ৬.৪৫ মিনিটে। কিন্তু সেই ট্রেন ছাড়ে রোববার সকাল ৬ টায়। সেই ট্রেনও মাইজগাও স্টেশনে আটকা পড়ে। প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে একই স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। পরে রাত আটটার সময় ২ ট্রেনকে একত্র করে পাঠানো হয়।
আন্তঃনগর ট্রেনগুলো বিলম্বের মধ্যে চলে গেলেও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা। প্রায় স্টেশনে ১০/১২ ঘন্টা বসিয়ে রেখে কচ্চপ গতিতে এগোয় এই ট্রেনগুলো। স্টেশনে পৌঁছে আবারও বসতে হয় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা। যার ফলে সিলেটের আশেপাশের যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেনছে মহিলারা ও শিশুরা। এছাড়া এ সকল ট্রেনে আলোর ব্যবস্থাও ভাল নয়। যে কোন সময় মহিলাদের সাথে ঘটতে পারে যে কোন দুর্ঘটনা।
চট্টগ্রামগামী জালালাবাদ ট্রেনের যাত্রী শেফালী আক্তার জানান, রেল কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার জন্য আমাদের এমন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সিলেট থেকেও প্রায় ১৫ ঘন্টা পরে ট্রেন ছেড়েছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার এই অবস্থা হলে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাবো।
এ ব্যাপারে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী সে্টশন মাস্টার সজিব কুমার মালাকার বলেন, বরমচালে দুর্গটনার কারণে ট্রেনের সময়সূচীতে কিছুটা ঝামেলা হচ্ছে। আশা করছি, দু'একদিনের মধ্যে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
আপনার মন্তব্য