হগিবঞ্জ প্রতিনিধি

০৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:৩৯

হবিগঞ্জে ২৫০ খামারে গরু মোটাতাজা হচ্ছে দেশীয় পদ্ধতিতে

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে হবিগঞ্জে গরুর পরিচর্যার ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। জেলায় গরু মোটাতাজা করণের কাজ চলছে সম্পুর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে। গবাদি পশুদের খাওয়ানো হচ্ছে হাওরের ঘাস, খইল, ভূষি, কচুরিপানাসহ দেশীয় সব খাবার।

এবার ভারতীয় গরুর চেয়ে দেশীয় গরুর প্রতিই ক্রেতারা বেশি ঝুকবে বলে মনে করছেন খামারিরা। এ জন্য তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খামারের নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়ে গরুর যত্নে তৎপর রয়েছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, গরুর মধ্যে যাতে করে কোন ধরণের ক্ষতিকারণ ইঞ্জেকশন দেয়া না হয় সে জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে।

জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের ২৫০টি গরুর খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারীরা এখন ব্যস্ত গরু মোটাতাজাকরণে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খামামের নিয়োজিত শ্রমিকরা গরুর যত্ন নিতে তৎপর রয়েছে। বাজার থেকে খইল, ভূষি, কচুরিপানা, ঘাসসহ দেশীয় প্রযুক্তির খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। তাদের দাবি খামারের দেশীয় গরুর মধ্যে কোন ধরনের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ন্ন দেশীয় প্রযুক্তিতে মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। সামনে ঈদের বাজারগুলোতে তাদের খামারের গরুগুলো বিক্রির জন্য তৈরী করা হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার এতবারপুর গ্রামের হ্যাপি খামারে চলছে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের কাজ।

খামারের মালিক সোহেল মিয়া জানান, তিনি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তার খামারের প্রায় ৩০টি গরু কোরবানির জন্য মোটাতাজাকরণের কাজ করছেন। দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার কারণে তাঁর খামারের গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সোহেল।

রুছমত মিয়া নামে এক কর্মচারী জানান, খামারের গরুর জন্য তারা নিজেরাই ঘাস উৎপাদন করেন। ঘাস, খইল ও চালের গুড়া খাওয়ানো হয় গরুদের।  

হবিগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদক কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস জানান, খামারিরা যাতে করে ক্ষতিকারক ইনজেকশনের মাধ্যমে পশু হৃষ্টপুষ্ট করতে না পারেন সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত