নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ আগস্ট, ২০১৯ ১৬:০২

সিলেটে ডেঙ্গু পরীক্ষার অপর্যাপ্ত সরঞ্জাম, পুরো বিভাগের জন্য মাত্র ৫২০ কিট

সিলেটে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে প্রায় ২শ’ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে, সিলেট নগরীতেই মিলেছে এডিস মশার লার্ভা। ফলে ডেঙ্গু আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তবে এমন শঙ্কা থাকলেও সিলেটে নেই ডেঙ্গু পরীক্ষার যথেষ্ট কিট। পুরো বিভাগের জন্য এ পর্যন্ত মাত্র ৫২০কিট বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, গত বুধবার সিলেটের ৪ জেলার সিভিল সার্জনদের ১২০টি করে কিট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রদান করা হয়। এছাড়া সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে আলাদাভাবে প্রদান করা হয় আরও ৪০টি। ফলে মূলত গত বৃহস্পতিবার থেকেই ওসমানীসহ সিলেটের সরকারী হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরআগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেই এ পরীক্ষা করাতে হতো রোগীদের।

স্বাস্থ্য বিভাগ, সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দুই শ' ছাড়িয়ে গেছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন।

সিলেটের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. দেবপদ রায় বলেন, যে পরিমাণ কিট বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা হয়তো আজকালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তখন আরও কিট প্রদানের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবো।

তিনি বলেন, যতজনের জ্বর হচ্ছে সবাই যদি ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে চায় তাইলে বরাদ্দ পাওয়া কিটে কিছুই হবে না। তাই মানুষজনকেও সচেতন হতে হবে। জ্বর হওয়া মানেই ডেঙ্গু নয়। এছাড়া এখানকার বেশিরভাগ রোগীই ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে ঢাকায়ই পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন। ফলে সিলেটের আক্রান্ত সকল রোগীকেই এখানে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হচ্ছে না।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন শতাধিক জন। এরমধ্যে ৪৬ জন বর্তমানে ভর্তি আছেন। বাকীরা সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন।

এই হাসপাতালের ডেঙ্গু কর্নারের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. সুপার্থ ভট্টাচার্য সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বৃহস্পতিবারের পূর্ব পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা হতো না। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় থেকে ৪০টি ও সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে ৫০টি কিট প্রদান করা হয়। এরপর থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা শুরু হয়েছে। হাসপাতালে এখন কিটের কোনো সঙ্কট নেই বলে জানান তিনি।

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, আমরা কাছে আসা ১২০টি কিটের মধ্যে ৫০টি ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছি। ৭০টি আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী আমার কাছ থেকে এগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি।

তিনি বলেন, আপাতত কিটের কোনো সঙ্কট নেই। তবে ঈদের ছুটিতে যখন সবাই বাড়ি আসবে। তখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে। সেসময় সঙ্কট দেখা দিতে পারে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত