নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:১০

নাম ‘বিগবস’, দাম ২৫ লাখ

এবার এটিই এখন পর্যন্ত সিলেটের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু

নাম “বিগ বস”। গায়ে গতরেও বিগ বসের মতোই। ওজন প্রায় তেরশো কেজি। জন্ম রাজশাহীতে, বেড়ে ওঠা সিলেটে। বলছিলাম, সিলেটের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু’র কথা। সিলেটের বিয়ানীবাজারে শাহেদ ডেইরী ফার্মের 'বিগবস' নামের ষাড়টি ঈদবাজারে আলোচনায় শীর্ষে।

সিলেটের বিয়ানীবাজারের মাথিউরা গ্রামের শাহেদ আহমদ। বিদেশ যাওয়ার চেস্টায় বিফল হয়ে শুরু করেন ডেইরী ফার্মের ব্যবসা। শখের বসে উন্নতজাতের গরু পালন শুরু করেন। রাজশাহী থেকে তাঁর কিনে আনা বাছুরটিই এখন দেশের সবচেয়ে বড় ষাঁড়দের একটি। আদর করে এর রেখেছেন “বিগবস”। এবার কোরবানির ঈদে এই ষাড়টি বিক্রি করতে চান শাহেদ। এজন্য দাম হা×কছেন ২৫ লাখ টাকা।
 
'বিগবস' নামে বিরাটাকৃতির এই ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১৩শ' কেজি। লম্বায় সাড়ে এগারো ফুট আর উচ্চতা ছয় ফুট। শারিরীক অবয়বের মতো এর দৈনিক খাদ্য তালিকাও ইর্সনীয়। এর খাদ্য তালিকায় নানা ধরনের দানাদার খাবার, খড়, ঘাসের পাশাপাশি আপেল, মালটা, গাজর, শসাও রয়েছে।

তবে কোন ধরণের এন্টিবায়টিক বা ক্ষতিকার কোন ওষুধ খাওয়ানো হয়নি বলে জানিয়েছেন শাহেদ। চিকিৎসকও নিশ্চিত করেছেন এটি ।

খামারি শাহেদ আহমদ বলেন, শখ করে এই ষাঁড়ের নাম রেখেছি বিগবস। এবারের ঈদের বাজারে 'বিগবস' সারাদেশের বড় গরুগুলোর একটি দাবি করে তিনি বলেন, ফেসবুকে ছবি দেওয়ার পর অনেকেই এটি দেখতে আসছেন। দাম দরও করছেন।

শাহেদ মিয়া বলেন, সিলেটে ভালো দাম না পেলে দেশের সবচেয়ে বড় কোরবানীর পশুর হাট ঢাকার গাবতলিতে নিয়ে যাবেন ষাঁড়টি।   

বিয়ানীবাজারে শাহেদ ডেইরি ফার্মে 'বিগবস'কে দেখতে আসা গোলাপগঞ্জের রুবেল আহমদ জানান, তিনি ফেসবুকে এই ষাঁড় সম্পর্কে জেনে এখানে এসেছেন। তিনি বলেন, এর আগে আমি এতো বড় আকৃতির গরু দেখিনি।

দর্শনার্থীরা শুধু বিরাটাকৃতির এই ষাঁড়টিই দেখছেন না। তারা শাহেদ আহমদের খামার সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এই ফার্মের সফলতার গল্প শুনে অনেকে স্বপ্ন দেখছেন নিজেরা এমন একটি খামার গড়ে তোলার।  

বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিসার ডা রনজিৎ কুমার আচার্য বলেন, বিগবস নামের এই ষাঁড়টির বয়স চার বছর। একটি গরু সাধারণত ছয় বছরে পূর্ণ বয়স্ক বলা যায়। সে অনুযায়ী বিগবসের এখনকার স্বাস্থ্য উন্নয়নের হার অনুযায়ী সে ৭৫ ভাগ হয়েছে। আগামী দুই বছরে সে আরো ২৫ ভাগ বড় হবে।

ডা রনজিৎ কুমার বলেন, তাকে গত এক বছর থেকে কোন ধরণের এন্টিবায়টিক দেয়া হচ্ছে না। সুষম খাবার দিয়ে সাজানো হয়েছে তার প্রতিদিনিকার খাদ্য তালিকা। এটি দেশের মধ্যে একটি আদর্শ মাংসাসি ষাঁড় বলেও তিনি দাবি করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত